আজকের দিনে নিত্য প্রয়োজনে, কাজের ফাঁকে হোক কিংবা কাজের জন্য ল্যাপটপ (Laptop) একটি অত্যাবশ্যকীয় অপরিহার্য যন্ত্রাংশ পরিণত হয়েছে যা ছাড়া কাজ করা অসম্ভব. লকডাউন এর জেরে নাজেহাল হয়ে আজ প্রায় সবাই অন্যপায় অবস্থায় বাড়ি থেকে কাজ (work from home) করতে বাধ্য হচ্ছে। এমত অবস্থায় ল্যাপ্টপ ছাড়া কিছুতেই কাজটা করে ওঠা যাচ্ছে না, সুতরাং ল্যাপটপ একটা নিতেই হচ্ছে। এখন দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে সকলে ওয়াকিবহাল না যে কোন ল্যাপটপটি কেনা উচিত এবং দুশ্চিন্তায় পড়ে যাচ্ছে যে কতগুলি টাকা যা বহু কষ্টের সঞ্চিত অবস্থায় আছে তা কিভাবে ব্যবহার করে ল্যাপটপ কিনবো!
এই সমস্যা থেকে সমাধান এর জন্য নির্দিষ্ট কতকগুলি বিষয়ের উপরে ভিত্তি করে আজকের পর্যালোচনা। আশা করছি লেখাটি পড়ার পরে আপনার সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হবে। এখন ধরা যাক আপনি একটি ল্যাপটপ কিনবেন, কিন্তু সেই ল্যাপটপ কেনার আগে কি কি প্রশ্ন গুলি আপনার নিজেকে করা উচিত যার ওপর ভিত্তি করে আপনার উদ্দেশ্য সাধন হবে। তারই বিস্তারিত পর্যালোচনা নিচে পড়ুন ঃ
ল্যাপটপ কেনার বাজেট কত ?
এই প্রশ্নটিই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ পরবর্তী বিষয়টি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে। যেহেতু টাকাটি আপনার পকেট থেকে যাচ্ছে আপনাকে জানতে হবে ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট কি কোন বাজেট আছে? যদি থাকে অবশ্যই সেই বাজেটের মধ্যে আপনাকে ল্যাপটপ টি পছন্দ করতে হবে এবং নিতে হবে। আমি এখানে উদ্দেশ্য ভাবে কোন ল্যাপটপ এর উদাহরণ দিচ্ছি না কিন্তু পরবর্তী প্রশ্নের উত্তর গুলো পড়লে আপনার এই প্রশ্নটির উত্তর পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কোন ব্রান্ডের ল্যাপটপ কেনা উচিত?
এটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ল্যাপটপ একটি মোবাইল ফোনের মত নয় যে আপনি অন্ততপক্ষে প্রতিবছর একটি করে চেঞ্জ করতে পারেন। তার মুখ্য কারণ আপনার বাজেট ততটাই বেশি হয় যতটা আপনার প্রয়োজন তো আপনার ক্ষেত্রে কুড়ি হাজার টাকা দামের বেস্ট মডেল ল্যাপটপ ও অনেক সময় মূল্যবান হতে পারে আবার সাড়ে তিন লাখ টাকা দামের সর্বাধুনিক ল্যাপটপ দামি নাও মনে হতে পারে। তবে যদি আমার মতামত নিয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আমি দুটি ক্যাটাগরির নাম বলবো, প্রথমত যদি আপনি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ল্যাপটপ নিতে চান নির্দ্বিধায় বলব ডেল (DELL) ল্যাপটপ কিনতে এবং যদি ম্যাক (MAC) অপারেটিং প্রসেসর বিশিষ্ট ল্যাপটপ নিতে চান তাহলে অ্যাপেলের ভিন্ন কিছু নেই। বি: দ্র: – যদিও আজকাল অ্যাপেল ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এ উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালানো সম্ভব।
ল্যাপটপের কোন প্রসেসর ভালো?
এই প্রশ্নটিই এখানে বাকি সমস্ত প্রশ্নের থেকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে আগের দুটি বিষয় এবং সমগ্র লেখার আলোচ্য বিষয়টি নির্ভর করছে এই প্রশ্নের উত্তরে। প্রথমত আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি যে ধরনের প্রসেসর নিচ্ছেন তার ওপরেই নির্ভর করে আপনার ল্যাপটপের দাম কত হবে। আমিও সম্পূর্ণরূপে তথ্য দিতে চাইছি না কারণ মুখ্যত চীনের সাথে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং বিশেষত বাণিজ্য সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পরবর্তীতে ল্যাপটপ গুলির ভারতীয় বাজারে মূল্য যথেষ্ট বৃদ্ধি হয়েছে, আমি এই মতামতের সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করি যে ল্যাপটপগুলো দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ করোনা লকডাউন অথবা অত্যাধিক পরিমাণে বাজারে চাহিদা বাড়ার জন্য দাম বেড়েছে (কারণ মুখ্যত যদি আপনি বাজার সম্পর্কে বোঝেন তাহলে যেকোনো বিষয়ের চাহিদা বাড়লে তার দাম কমবে নাকি বাড়ে তো লকডাউন এর জন্য ল্যাপটপের দৈনন্দিন চাহিদা তুঙ্গে, সে ক্ষেত্রে মার্কেটে দাম কমানো উচিত ছিল কিন্তু যারা জানেন না মুখ্যত চেক করে দেখবেন যত ল্যাপটপ আমরা ব্যবহার করছি বিগত পাঁচ বছর বা দশ বছর পুরনো ল্যাপটপ যদি হয়ে থাকে বেশিভাগই দেখবেন মেড ইন চায়না। তার কারণ একটু বিস্তারিতভাবে আপনি অনুসন্ধান করলে জানতে পারবেন একটি ইলেকট্রনিক জিনিসের যত বস্তু প্রয়োজন হয় তাকে বানাতে তার অধিকাংশই পৃথিবীর মধ্যে চীন থেকেই উৎপাদিত হয়।) এবার আসা যাক মূল্য জনিত কারণে, যেহেতু বাজারের দাম খুবই ওঠানামা করছে সে ক্ষেত্রে মোটামুটি ভাবে কুড়ি হাজার থেকে ল্যাপটপ শুরু হয়ে 55-60 হাজার টাকা অবধি আনুমানিক দাম আছে। এর মধ্যে আপনি পছন্দ করতে পারেন প্রসেসর এর ওপর ভিত্তি করে কোন ল্যাপটপটি নেবেন – প্রসেসর গুলি হল মুখ্যত : 1. ইন্টেল( উইন্ডোজ এবং ম্যাকের জন্য) 2. এ.এম.ডি (AMD) যা বাজারে সর্বতোভাবে প্রাপ্ত যোগ্য। এছাড়া আরো কিছু প্রসেসর আছে কিন্তু সেগুলিকে আমরা খুব একটারে কমেন্ট করি না।
অফলাইন থেকে ল্যাপটপ কিনব নাকি অনলাইন থেকে?
প্রশ্নটি দুশ্চিন্তা থেকে বিরত হন, কারণ জিএসটি আশার পরবর্তীকালে নানা ধরনের সমস্যা থেকে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদেরকে সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় সরকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, যে মডেলগুলি যে কোনো ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ডের অনলাইনে পাওয়া যাবে সেগুলি অফলাইনে প্রাপ্ত যোগ্য হবেনা এবং তার উল্টো টিও( অর্থাৎ অফলাইন বস্তুগুলি ও অনলাইনে পাওয়া যাবে না)। এর ব্যতিক্রম যে নয় তা না কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুটি মডেলে অনলাইন অফলাইন পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে আপনাকে দেখে নিতে হবে কোথায় দামটি কম।
ল্যাপটপটিতে কিনব কিন্তু ল্যাপটপ টি কি কাজে ব্যবহার করার জন্যে কিনছি?
এই প্রশ্ন উত্তর সিরিজের অন্যতম আরেকটি প্রশ্ন এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার প্রকৃতপক্ষে কোন প্রসেসর এর ল্যাপটপ নেওয়া উচিত এবং আপনার বাজেট কত হবে।ধরুন আপনি সাধারণ কোন কাজ করছেন, যেমন ওয়েব ব্রাউজিং, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি, এবং সাধারন মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড এর কাজ। সে ক্ষেত্রে একেবারে কম কনফিগারেশনের ল্যাপটপ নিলে কোন দ্বিধা নেই নির্দ্বিধায় কাজ চলবে।এবার যদি ধরা যাক আপনার একটু টেকনিকাল কাজকর্ম করতে হয় ওই যেমন ফটোসপ কোরাল ড্র কিংবা আপনি মাল্টিপল কাজের জন্য ল্যাপটপ নিতে চাইছেন, একইসাথে ওয়েব ব্রাউজিং, কনটেন্ট রাইটিং, মাইক্রোসফট অফিস, ও আরো সামান্য কিছু কাজ করতে চাইছেন সে ক্ষেত্রে বলবো অবশ্যই i3 অথবা i5 ল্যাপটপ কিংবা তার সমতুল্য সেকেন্ড থার্ড জেনারেশন AMD রাইজেন কিনতে পারেন। এইবার ধরুন আপনি খুব high-end কাজ করতে চাইছেন যেমনটি হল ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, কিংবা অনলাইন গেম খেলতে চাইছেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই রিকমেন্ড করব কমপক্ষে i7 অথবা i9 অথবা এর সমতুল্য প্রসেসর নিতে AMD থেকে অথবা নির্দ্বিধায় যদি আপনার আপত্তি না থাকে ম্যাকবুক প্রো কিনে ফেলুন। আর ম্যাকবুক এয়ার কিনতে পারেন যদি আপনার অ্যাপেলের প্রতি কোন দুর্বলতা থাকে অথবা ব্যবহারের ইচ্ছা থাকে সাধারণ কাজের জন্য মাত্র।
ল্যাপটপ টা কি শুধুমাত্র বাড়িতে বসে কাজ করার জন্য নাকি রেগুলার ঘোরাঘুরিও করতে হবে ল্যাপটপ নিয়ে?
এই প্রশ্নটিই আপনার অনেকটি টাকা বাঁচাবে, যদি এটি আপনার প্রথম ক্রয় হয়ে থাকে ল্যাপটপের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখবেন আপনি ল্যাপটপ টি কিনতে চাইছেন সেটি কি সব সময় বাড়িতে ব্যবহার হবে নাকি আপনার অফিসের কাজে ব্যবহার করতে হয় এবং বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় অথবা প্রত্যহ আপনাকে বহন করতে হয়? মনে রাখবেন যদি সাধারণ কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনছেন অসুবিধা নেই 15 হাজার -কুড়ি হাজার টাকা দিয়ে যে কেউই ল্যাপটপ কিনতে পারে, কিন্তু যদি আপনি খুব উচ্চ ক্ষমতাশালী প্রসেসর দিয়ে ল্যাপটপ কিনতে চলেছেন সে ক্ষেত্রে মাথায় রাখবেন যদি ঘরে ব্যবহার করার জন্যই কিনতে হয় আমি নিজে পার্সোনালি ডেক্সটপ ব্যবহারের উপদেশ দিয়ে থাকি। প্রথম কারণ মূল্য, ল্যাপটপ থেকে ডেক্সটপ এর দাম কমপক্ষে 40 থেকে 50 শতাংশ কম হয়। দ্বিতীয়তঃ তুলনামূলকভাবে ডেক্সটপ এর আয়ু অনেক বেশি হয় এবং আপগ্রেড করতেও খরচ তুলনামূলক অনেক কম। কিন্তু আপনার যদি এমনটি হয়ে থাকে যে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ভ্রাম্যমাণ ল্যাপটপ দরকার, সে ক্ষেত্রে আমি বলবো ম্যাকবুক প্রো অথবা উইন্ডোস সারফেস প্রো (Microsoft Surface Pro) কিনতে
উইন্ডোজ ল্যাপটপ নাকি অ্যাপল ম্যাকবুক কি কেনা উচিত?
এক্ষেত্রে পছন্দ নিজের নিজের, অবশ্যই মনে রাখবেন আপনার চাহিদা এবং সামঞ্জস্য রেখে আপনাকে পছন্দ করা উচিত। এক্ষেত্রে বাজারে অনেক ভুল ধারণা তৈরি করা আছে, যেমন অ্যাপেলে ভাইরাস ধরে না, কিংবা ম্যাকবুকের দাম অনেক বেশি, অথবা MAC বুকে মেইনটেনেন্স কষ্ট বেশি। সবগুলোই মিথ্যা, স্পেসিফিকেশনঃ হিসেবে দুটি ব্র্যান্ডের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় সমান সেক্ষেত্রে আপনার যদি পছন্দ চয়েজ করুন, যদি আপনি অনলাইন কাজের জন্য নিয়ে থাকছেন পার্থক্য কিছুই নয় কারণ স্ক্রিনটা ওয়ে কি দেখবেন, শুধুমাত্র অফলাইন কাজের ক্ষেত্রে সিস্টেম এর অপারেটিং সিস্টেমগুলো আলাদা হওয়ার জন্য একটু ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যায় তাছাড়া কিছু না।
ল্যাপটপের সার্ভিস স্টেশন কোথায়?
এই প্রশ্নটিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যদি আপনি অনলাইন থেকে ল্যাপটপ কেনেন। মনে রাখতে হবে যদি আপনি অনলাইন থেকে কিনছেন কাস্টমার কেয়ারে অবশ্যই ফোন করে শুনে নেবেন সেটি কি সমস্ত ভারতে সার্ভিস প্রাপ্ত যোগ্য নাকি বিদেশ থেকে আনা বৈদ্যুতিন যন্ত্র হওয়ার কারণে সীমিত কিছু সার্ভিসের স্টেশন তার সার্ভিস দেবে। বাকি ইলেকট্রনিক জিনিসের কতটা ভরসা হয় বলা মুশকিল। যদিও এক্ষেত্রে বলতে চাইব ডেল শুরু করেছিল আপাতত ভাবে এইচপি ল্যাপটপ এক্সিডেন্টাল বেনিফিট অফার দিচ্ছে, যেখানে আপনাকে ওয়ারেন্টি পিরিয়ড এর মধ্যে যেকোনো ধরনের ড্যামেজ থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা দেওয়া হয়। আমার নিজের ক্ষেত্রে আমার প্রথম ল্যাপটপ টি যখন কিনেছিলাম 2014 সালে তখন মনে আছে, ডেল এর দোকানি বলেছিল “যদি আপনার ভালো না লাগে লরির চাকার নিচে ফেলে দেবেন ওয়ারেন্টি পিরিয়ড এর মধ্যে থাকলে আমরা ঠিক করে আপনাকে নতুন দিয়ে দেবো” কথাটা কতটা সত্য জানিনা কিন্তু অবশ্যই বলব ব্যবহারের উপর একটা বিশ্বাস থাকে যার বাস্তব অভিজ্ঞতা আমি পেয়েছিলাম। যখন আমার অডিও পোর্ট টি খারাপ হয়ে গেছিল তখন ডেল কোম্পানীর তরফ থেকে আমার বাড়িতে এসে ওরা সার্ভিসটি করে যায় আমার সামনে এবং পুরো অংশটিকে নতুন লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। যদিও এর পরবর্তীতে আমার কাছে কোম্পানির তরফ এ সার্ভিস কোয়ালিটি প্যারামিটার চেক করার জন্য কল এসেছিল এবং যত সময় না আমি বলেছিলাম যে আমি তাদের সার্ভিসে সন্তুষ্ট ততসময় তারা রাজি ছিল বারংবার আমার বাড়িতে এসে ফ্রিতে সার্ভিসটা দিয়ে যেতে। কিন্তু মনে রাখতে হবে ওয়ারেন্টি পিরিয়ড একবার শেষ হয়ে গেলে কখনোই এই ধরণের সার্ভিস পাওয়া সম্ভব নয়।
উপরের বিষয়বস্তু থেকে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কি ধরনের ল্যাপটপ আপনাকে নিতে হবে, যদিও আমি আর একটু বিস্তারিতভাবে নিচের তথ্যাদির মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করছি হয়তো বুঝতে আপনার আরও সুবিধা হবে।
কাজের ভিত্তি | ল্যাপটপ ব্র্যান্ড ১ | ল্যাপটপ ব্র্যান্ড ২ | ল্যাপটপ ব্র্যান্ড ৩ | মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত |
অতি সাধারণ কাজ ( সিনেমা দেখা, ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা, সাধারণ microsoft-office ব্যবহার, মাঝে মাঝে ব্যবহারের জন্য) | মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে (intel, pentium কিংবা ডুয়াল কোর) – সর্বোচ্চ দাম হওয়া উচিত কুড়ি হাজার টাকা | মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে (AMD রাইজেন 1200, 1400 ইত্যাদি) – সর্বোচ্চ দাম হওয়া উচিত কুড়ি হাজার টাকা | অ্যাপেল ম্যাকবুক Air – মূল্য প্রায় 64,000 টাকা | এ ধরনের ল্যাপটপ কেনার জন্য আমি সাধারন সাজেশন করিনা, তার মুখ্য কারণ আপনার হাতের ফোনটির ক্ষমতা এই ধরনের ল্যাপটপ এর থেকে বেশি হয়। সুতরাং যে ব্যাক্তি এই দামের ল্যাপটপ কিনছি মুখ্য তো সে ল্যাপটপ টি ব্যবহার করেনা অথবা সিনেমা দেখতে কিংবা ফেসবুকে সময় কাটাতেই বেরিয়ে যায় কাজের পক্ষে একদমই সাজেশন করবো না। |
যদি আপনি প্রত্যহ কাজে ব্যবহার করেন এবং আপনার একই সাথে বেশ কতগুলি উইন্ডো এবং ট্যাবের কাজ করতে হয় অনলাইন এবং অফলাইন দুটি ভাবেই | মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে (intel, i3 or i5 ) – মোটামুটি এক্ষেত্রে দাম থাকে 35 হাজার থেকে 55 হাজার টাকার মধ্যে. | মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে (AMD রাইজেন 3rd or 5th series) – এক্ষেত্রে আপনি কিনতে পারবেন 25 হাজার থেকে সর্বোচ্চ 38 হাজার টাকার মধ্যে | অ্যাপেল ম্যাকবুক Air – মূল্য প্রায় 64,000 টাকা | আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলব এ ক্ষেত্রে এই AMD রাইজেন পছন্দ করা, কারণ মুখ্যত অনেকটি টাকা সাশ্রয় হয় আর কাজের নিরিখে দেখলে পারফরম্যান্স মোটেও খারাপ পাবেন না. |
যদি আপনি সাধারণ কোডিং এর জন্য নিতে চাইছেন অথবা আপনার সন্তান সন্ততি যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে তাদের জন্য অথবা দীর্ঘায়ু ব্যবহারের জন্য পছন্দ করতে চাইছেন। কাজের ভিত্তিতে যদি দেখি হয়তো আপনি ছোটখাটো গেম খেলতে পারবেন একইসাথে ওয়েব ব্রাউজিং এবং খুবই হাই ডেফিনেশন কাজকর্ম করতে চাইছেন, গ্রাফিক্স ডিজাইন কিংবা ফটোশপের কাজ করতে চাইছেন সে ক্ষেত্রে এটি। | মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে (intel, i7 ) – মোটামুটি এক্ষেত্রে দাম থাকে 55 হাজার থেকে 90 হাজার টাকার মধ্যে. | মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে Surface Book (এটি মাইক্রোসফ্ট নিজে তৈরি করে) মোটামুটি এক্ষেত্রে দাম থাকে 38 হাজার থেকে 80 হাজার টাকার মধ্যে. | অ্যাপেল ম্যাকবুক 13 pro – মূল্য প্রায় 124,000 টাকা | এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় সবচাইতে কঠিন, কারণ এই ক্যাটাগরিতে কম্পেটিশন টা হয় সবচাইতে বেশি। যদিও আমি বলবো যদি অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কোন পছন্দ না থাকে এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই প্রথম অপশন থেকে ডেল অথবা আপাতকালীন ভাবে এইচপি খারাপ হবে না নিতেই পারেন, কম দামে সবচাইতে বেশি সাশ্রয় এবং পারফরম্যান্স একই পাবেন। |
ভিডিও এডিটিং বা হাই ডেফিনেশন গেম খেলার জন্য এবং কমবেশি সমস্ত কাজ করার জন্য | মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে (intel, i৯ ) – মোটামুটি এক্ষেত্রে দাম থাকে ৯০ হাজার থেকে 1 লক্ষ 60 হাজার টাকার মধ্যে. | মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে (AMD রাইজেন Razer Blade 15 RTX) – এক্ষেত্রে আপনি কিনতে পারবেন ৮৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ 1 লক্ষ ২0 হাজার টাকার মধ্যে | অ্যাপেল ম্যাকবুক ১৬ pro – মূল্য প্রায় 2০০,০০০/- টাকা | এখানে যদি আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন, আমার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অনেক সহজ এবং সেক্ষেত্রে আমি বলব তিনটির মধ্যে কোন অপশনে না গিয়ে একটি ডেস্কটপ যেকোনো দোকানের কাছ থেকে বুঝে অর্ডার দিয়ে নেবেন সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স পাবেন এবং মূল্য খুবই কম হবে অন্ততপক্ষে 40 থেকে 50 শতাংশ আপনার সাশ্রয় গ্যারান্টি। |
এখানে পর্যালোচিত সিদ্ধান্তগুলি আমার বিগত সাত বছরের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, ভিন্নমত থাকতেই পারে তার জন্য নিচে কমেন্ট সেকশন ওপেন থাকলো। আপনার আরো কোন জিজ্ঞাস্য থাকলেও কমেন্টে জানান চেষ্টা করব উত্তর দেওয়ার।
বিশেষ দ্রব্যষ্ট : যখনই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ আপনি কিনবেন কতগুলি জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখবেন, প্রথমত তার প্রসেসর কি? দ্বিতীয়তঃ তার যে মেমোরি আছে সেটা HDD নাকি SSD? তৃতীয়তঃ কতটা আছে? চতুর্থত গ্রাফিক্স কার্ড আছে কিনা তার কনফিগারেশন কি? পঞ্চমত যে মনিটর ডিসপ্লে নিচ্ছেন সেটি কত হার্ড (hz) ক্ষমতা সম্পন্ন?
উত্তর গুলো জানা থাকলে দারুন যদি এ বিষয়ে আপনার আরো জানতে ইচ্ছা হয় নিচে কমেন্ট করুন এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি লেখা অবশ্যই আপনাদেরকে দেব।
[…] […]