নিজস্ব সংবাদদাতা: ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের অপমান করার জন্য গত পরশুদিনই লাল-হলুদ কোচ রবি ফাওলারকে চার ম্যাচ নির্বাসিত ও পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান আইনজীবী উষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেন ফাওলারের শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার জন্য।

তিনি যুক্তি দেন, বৃহত্তর স্বার্থে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের কোচের বিরুদ্ধে নেওয়া এই কঠোর সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। তবে ইস্টবেঙ্গল কর্তার এই অনুরোধ সঙ্গে সঙ্গেই খারিজ করে দেন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘‘শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি সর্বসম্মত ভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই ইস্টবেঙ্গলের কর্তা আবেদন করলেও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার প্রশ্ন নেই। কারণ, ফাওলার যে আচরণ করেছেন তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরে তা পুনর্বিবেচনা করার এক্তিয়ারও আমাদের নেই।’’

লাল
news 18

এদিকে,রবি ফাওলারের শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার জন্য ইস্টবেঙ্গলের এক শীর্ষ কর্তা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন এই খবর ময়দানে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে লাল-হলুদের অন্দরমহল। বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফে সাথে সাথে জানানো হয়, তারা কোচের শাস্তি কমানোর জন্য শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে আবেদন করেনি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেরও কাউকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, নতুন বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পর থেকেই চুক্তির শর্ত নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। একাধিকবার আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। চব্বিশ ঘণ্টা আগে লাল-হলুদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ও ফাওলারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অ্যান্টনি গ্র্যান্টের একটি টুইটকে কেন্দ্র করেও উত্তাল হয়ে উঠেছিল আবহ।

সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে ক্লাবের পুরনো কর্তারা আমাদের সমস্যায় ফেলতে চাইছেন।’’ এই পরিস্থিতিতে বিচ্ছেদের আশঙ্কাও কেউ কেউ করছেন। বিনিয়োগকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙুর অবশ্য আশাবাদী দ্রুত সমস্যার সমাধান নিয়ে। গতকালই তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ধৈর্য হারাচ্ছি না। আশা করছি, ওঁরা সই করবেন। আইএসএল আগে শেষ হোক, তার পরে এই বিষয়ে কথা বলব।’’ তবে এই টার্মশিটে সই নিয়ে ক্রমশ জটিলতা বাড়ছে, যা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে সমর্থক মহলেও।