নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই রাজনীতির আঙিনাকে তিনি বিদায় জানিয়েছেন। রাজনীতি নয়, বরং খেলার মাঠে ফিরতে পেরে ভাল লাগছে বলে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তাঁকে তৃণমূলনেত্রী হাওড়া জেলার ভারও দিয়েছিলেন। কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দলে তিনি এতটাই বীতশ্রদ্ধ হয়ে যান যে সেই পদও ছাড়েন।
পূর্বতন রাজ্য সরকারের আমলে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন লক্ষ্মী। ওই দফতরের পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন অরূপ বিশ্বাস। এবারও অরূপকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্রীড়ার, সঙ্গে তিনি পেয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরও। যদিও লক্ষ্মীরতন আর নেই, তাঁর পরিবর্তে এবার ক্রীড়ায় অরূপের ডেপুটি হয়েছেন আরও এক ক্রিকেটার প্রার্থী, মনোজ তিওয়ারি। যিনি আবার এবারের নির্বাচনে জিতেই বলেছেন, ‘‘দিদি যা দায়িত্ব দেবেন, আমি মাথা পেতে নেব। আমার কোনও পছন্দ-অপছন্দ নেই। আমি চারেও ব্যাট করতে পারি, আবার সাত নম্বরেও। তাই ক্যাপ্টেন যা বলবে, সেটাই হবে।’’
ক্রিকেটার জীবনে লক্ষ্মীরতন যেমন নানা সমীকরণে বিশ্বাস করতেন, মনোজ আবার সোজাসাপ্টা। তাঁর রসায়ন, সোজা ব্যাটে খেলা। মাঠেও তাই করে এসেছেন। যখন দেখেছেন বাংলা দলে অভ্যন্তরীন সমস্যা হয়েছে, সেইসময় সরাসরি সেই বিষয়ে সিএবি কর্তাদের বলেছেন। তাতে হয়তো সাময়িক সমস্যা হয়েছে, কিন্তু শিবিরে একটা সুস্থ হাওয়া ছিল।
নিজের পদে ফের বাংলার আরও এক ক্রিকেটার, আরও ভাল করে বললে তাঁরই যোগ্য অনুজ নেতা। লক্ষ্মীরতন বলছিলেন, মনোজের সঙ্গে ফোনে কথা হয়নি, তবে আমি ওঁকে ফোনে মেসেজ করেছি, শুভেচ্ছা জানিয়েছি।
আপনি কি মনোজকে কোনও পরামর্শ দেবেন? বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক লক্ষ্মী বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, অবশ্যই, তবে মনোজ যদি ফোন করে পরামর্শ চায়, তবেই।’’ আপনার কাজের অভিজ্ঞতা কি শেয়ার করবেন? লক্ষ্মী সেই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘‘কেন নয়? অবশ্যই। তবে এই ধরনের পদগুলোতে নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করা যায় না, অনেক রকম বাধা থাকে। তবুও ফোন করলে সাজেশন দেব।’’ ব্যস, এইটুকুই। এই নিয়ে বিশদে কিছু বলেননি লক্ষ্মী। যিনি নিজে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ, বলা যাবে না। নিজে উদ্যোগ নিয়ে বহু প্রাক্তনদের সহায়তা করেছেন রাজ্য সরকারের অর্থে। তাঁদের নানা সুবিধে পাইয়ে দিয়েছেন। মনোজ সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, আমি দলগতভাবে ভাবব বাংলার খেলাধুলোর স্বার্থে।