নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার রোজভ্যালি কাণ্ডেও নাম জড়িয়ে গেল শতাব্দী প্রাচীন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। যার ফলে বেশ অস্বস্তিতে ক্লাব। কারণ শনিবার এই চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে চলা মামলায় লাল-হলুদের হিসাবরক্ষক তথা ক্লাব কর্তা দেবদাস সমাজদারের নাম সামনে এল। এই বিষয়ে একবার নয়, দুবার সিবিআইয়ের তরফ থেকে বেশ কড়া ভাষায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটি নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্লাবের নতুন বিনিয়োগকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, এর আগে সারদা মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের।
২০১৫ সালে সারদা কাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বেশ কয়েক মাস হাজতবাস করতে হয়েছিল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারকে। এবার ফের এমন ঘটনায় স্বভাবতই গোটা বিষয় নিয়ে বেশ বিরক্ত লাল হলুদের বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্ট। একদিকে দল যখন আইএসএল খেলছে, তখন ক্লাব কর্তাদের বারবার চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়া মোটেও ভালভাবে নিচ্ছেন না সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙ্গুর। তাঁদের দাবি, চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত সুদীপ্ত সেন ও গৌতম কুণ্ডু জেলে থাকার জন্য তাঁদের সদস্যপদ লাল-হলুদ বাতিল করেছে। ফলে পরিচালন কমিটির অভিযুক্ত সদস্যদেরও ক্লাব থেকে এবার ছেঁটে ফেলা উচিত।
গত ২৯ ডিসেম্বর লাল-হলুদ তাঁবুতে এই বিষয়ে প্রথম চিঠি দেয় সিবিআই। কর্তা দেবদাস সমাজদারকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে ক্লাবের সঙ্গে রোজভ্যালির কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। যদিও সেই চিঠির কোনও জবাব সিবিআইকে দেওয়া হয়নি। তাই গত ৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে আরও একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেটি পাঠানো হয়েছিল ক্লাব সভাপতি ডাক্তার প্রণব দাশগুপ্তকে।
সেই চিঠিতে গত ৭ জানুয়ারির মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি রোজভ্যালির সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকলে সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার কথাও সেই চিঠিতে লেখা ছিল। ক্লাবের তরফ থেকে দুটো চিঠির সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের দুটো চিঠি আমরা পেয়েছি। জবাব দেওয়াও হয়েছে।’’
এদিকে, ফের একবার লাল-হলুদ ক্লাবের সঙ্গে চিটফান্ড সংস্থার নাম জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা ভাল চোখে দেখছে না বিনিয়োগকারীরা। সংস্থার এক কর্তা বলেছেন, ‘‘আমরা ফুটবলেরর উন্নতির জন্য ইস্টবেঙ্গলে এসেছি। সেখানে এই বিষয়গুলো কাম্য নয়। চিট ফান্ড কাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য লাল-হলুদ কর্তারা একটা সময় সুদীপ্ত সেন ও গৌতম কুন্ডুর সদস্য পদ বাতিল করেছিলেন। তাহলে এবার এই কর্তাদের কেন ছেঁটে ফেলা হবে না? নিয়ম তো সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।’’