রোগ এমন একটি বিষয় যে পৃথিবীর কোন মানুষের পিছু ছাড়ে না। একটি বিতাড়িত হয় তো অপরটির আগমন ঘটে। যাকে বলে নাছড়বান্ধা। কিন্তু মানব শরীরে কোন রোগ পুষতে পুষতে কখন যে ভয়াবহ আঁকার ধারণ করবে তা টের পেতে পেতে বিপদ ঘনিয়ে আসবে। এমনকি ক্ষুদ্রে রোগ মারনব্যধি তে পরিনত হতে সময়ের অপেক্ষায় থাকবে না। তাই সময় থাকতে থাকতে নিজের যত্ন নিন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন। অনেকেই রোগ প্রতিরধের জন্য মাত্রারিক্ত ভিটামিন, বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খেয়ে থাকেন ডাক্তারের নির্দেশ ছাড়াই। তাতে লাভের চাইতে ক্ষতির পরিমান বেশী।
তাই আজ আপনাদের বলব বাইরের কোন ক্ষতিকারক ওষুধ সেবন না করে ফলের মাধ্যমে কিভাবে রোগ প্রতিরোধ করবেন। আমাদের শরীরের সাথে জুঝতে গেলে পর্যাপ্ত পরিমান পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ খাবার দরকার। ভিটামিন , মিনারেলস, ফাইবার রোগ প্রতিরোধের উপজুক্ত ঔষুধ। । আর যে খাবারে এই গুন গুলো থাকে তাকে বলে প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ক্ষাদ্য বা Immune System Boosters. আর এই সকল উপাদান বর্তমান ফলের মধ্যে। তাই রোজগার রুটিনে খাবারের পাতে কিছু ফল যোগ করুন, কিছুদিন পর আপনি নিজেই পার্থ্ক্য লক্ষ্য করতে পারবেন।
জানেন কি রোগ প্রতিরোধে সক্ষম 5 ফলদায়ী ফল ?
খালি পেটে জল ভরা পেটে ফল
কথাটি বর্তমানে অনেক বদলেছে, ভরা পেট ছাড়াও মানুষ ফল খায় , কারন অনেকের মতে ফল তো জল।
লেবু
লেবু আমাদের রোজগার জীবনের সাথে কম বেশী সাক্ষ্যতা করেই নিয়েছে। সকালে লেবুর জল থেকে বিকেলে লেবু চা প্রায় অধিকাংশ মানুষের রুটিনের তালিকায় জায়গা পায়। তাই এই লেবুর সাথে যদি দুফুরে খাবার পর মৌসাম্বি লেবুকে জায়গা দিতে পারেন তালে আপনার শরীরের অনেক সমস্যার অবসান ঘটবে। লেবুতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট , ভিটামিন সি, যার ফলে পেটের অস্থির অবস্থা,কোষ্ঠকাঠিন্য,ইনফেকশান, ঠাণ্ডা, সর্দি,কাশি, মুত্ত্রনালীর ক্ষত সারাতে সক্ষম। এছাড়া লেবুতে উপস্থিত পটাশিয়াম শ্বাসকষ্ট, হাইপার টেনশন, হৃদরোগ জনিত সমস্যার হাত থেকে মুক্তি ঘটায়। ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাসের কারণে ছড়িয়ে পড়া রোগ প্রতিরোধ করতে লেবু অত্যন্ত উপকারী।
কিউই
বেদানা
বেদানা যার ওপর নাম ডালিম। বেদানার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জাদুকরী গুনাগুন। যার জন্য বেদানাকে স্বর্গীয় ফল বলা হয়। সকলেই বেদানার একটি গুন সম্পর্কে পরিচিত, বেদানা রক্ত বৃদ্ধি ঘটায়। কিন্তু বাকি গুনাগন সম্নধে অনেকেই হয়তো জানেন না। বেদানা আর মধ্যে বিউটেলিক অ্যাসিড, আরসোল অ্যাসিড এবং কিছু আ্যলকালীয় জাতীয় দ্রব্য যেমন সিডোপেরেটাইরিন, পেপরেটাইরিন, আইসোপেরেটাইরিন, মিথাইলপেরেটাইরিন প্রভৃতি উপাদান থাকায় বিভিন্ন রোগ উপশমে ব্যবহৃত হয় ।এছাড়াও বেদানায় উপস্থিত, শর্করা, খনিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অক্সালিক এসিড, ফসফরাস, রাইবোফ্লাভিন, নায়াসিন, ভিটামিন সি ইত্যাদি যা মেধা ও বল বৃদ্ধি করে, অরুচিনাশ করে , ত্বককে সজীব রাখে, হৃদরোগে আক্রান্তের হার কমায়, হাড়ের ক্ষয় রোধ করে মজবুত করে, কোষ্ট কাঠিন্য রোধ করে, জন্ডিস, বুক ধড়ফড়ানি, বুকের ব্যথা, কাশি, কণ্ঠস্বর পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এছাড়া স্কিন ক্যান্সার ও প্রস্টেট ক্যানসার , ব্রেস্ট ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে, রক্তচাপ কমায়, বাত, অস্টি ও আর্থারাইটিস, পেশির ব্যথা ,তরুণাস্থির ক্ষয় রোধ করে, কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কলা
আমরা অনেকেই কলা দেখলে নাক সিটকাই কিন্তু আমারা অনেকেই জানি না কলার উপকারিতা সম্পর্কে। কলা রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে শরীরের সকল রোগ ব্যাধি দূর করে। কলার মধ্যে থাকে ভিটামিন বি, কার্বহাইড্রেট , পটাশিয়াম যা অ্যানিমিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য,আলসার, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন, স্নায়ুর সমস্যা, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকে বাঁচার উপায় । এছাড়া মুড অফ একটি অতি পরিচিত প্রি-মেন্সট্রয়াল সিনড্রোম কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি আমাদের শরীরে গ্লুকোজের সামঞ্জস্য বজায় রেখে মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই চান কি না চান কলা খান , রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে কলাকে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখুন।
শশা
শশার প্রধান উপকারিতা হল এটি আমাদের হজমশক্তিকে বৃদ্ধি করা। এছাড়া শশায় থাকে বিটা ক্যরোটিন, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, ফ্ল্যাভেনয়েডস, ট্রিটারপেনেস, লিগনান নামের পলিফেনল অক্সিডেটিভ যা শরীরের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরের বাজে কলেস্টেরল কমিয়ে শরীরকে মজবুত করে এমনকি সুগারের মাত্রার ঘটাতে শশা উপকারী।
দীর্ঘ্যদিনের অসুস্থতা, মানষিক চাপ, অনিদ্রা, অশান্তি, অতিরিক্ত ধূমপান মধ্যপান আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় তাই বাইরে থেকে তাগড়াই দেখালেও ভেতর থেকে নয়, তাই এই সকল ফল শরীরের ভেতরের সকল কমজোরী ভাবকে কমিয়ে সতেজ করে । মাংসপেশীর বল ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই যে কোন খাবারের সাথে ফল রাখা অত্যন্ত জরুরী। তাহলে আপনি রাখছেন আপানার খাবার টেবিলে এই ফলের সম্ভার। কারন আপনি সতেজ তো আপনার কার্যক্ষমতাও ততই বৃদ্ধি পাবে।
[…] আড়ও পড়ুন… https://banglakhabor.in/2020/11/11/%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%97-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%… […]