নিজস্ব সংবাদদাতা: রাম জন্মভূমি অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই দেশের রাজনৈতিক মহলের টানাপোড়েন দেখেছে সাধারণ মানুষ। নানা বিতর্কের পর অবশেষে অযোধ্যায় গড়ে উঠছে রাম মন্দির। আর তার জন্য দেশ জুড়ে চলছে অর্থ সংগ্রহের কাজও। রাম মন্দিরের আর্থিক সংগ্রহ নিয়ে সম্প্রতি যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে চমক লাগতে বাধ্য বাঙালির।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে সংগৃহীত হয়ে গিয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা, এমনটাই জানা গেছে গেরুয়া শিবির সূত্রের খবরে। বাংলা থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থে নিঃসন্দেহে উচ্ছ্বসিত হিন্দু পরিষদ। শুধু তাই নয়, পরিষদের তরফ থেকে এখন নতুন স্লোগান, “অব কি বার, ৬০ কোটি পার”।
এদিন হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে রাম মন্দির ট্রাস্টের রাজ্য শাখার খতিয়ান প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মন্দির নির্মাণের জন্য লক্ষাধিক টাকা দিয়েছেন এক এক জন। এমনকি কেউ কেউ দিয়েছেন কোটি টাকাও। তবে তাঁরা কারা, তা জানাতে রাজি নয় হিন্দু পরিষদ। রাম মন্দিরের জন্য এই পরিমাণ উন্মাদনা বাংলায় বিজেপি শিবিরকে উচ্ছ্বসিত করবে তা বলাই বাহুল্য।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এ রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের অবস্থান জোরদার হচ্ছে দিন দিন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে কোণঠাসা করে নীল বাড়ি দখলের লড়াইয়ে উঠে পড়ে লেগেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাম মন্দির ট্রাস্টের এই সাফল্য নিঃসন্দেহে মনোবল বাড়িয়েছে নেতা কর্মীদের। বিশেষত, পদ্মফুলের বিরুদ্ধে এ রাজ্যে শাসকদলের মূল অভিযোগ যখন রাজনীতিতে ধর্মের অনুপ্রবেশ কেন্দ্রিক, তখন এই তথ্য আরো বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।
হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে রাম মন্দিরের জন্য গোটা দেশ থেকে এক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যেই দেড় হাজার কোটি টাকা হয়ে গিয়েছে। বাংলা থেকে সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল ৫০ কোটি টাকা। লক্ষ্য পূরণ হয়ে গিয়েছে। পরিষদের সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহের কথায়, ‘‘এই কর্মসূচিতে পরিষদ তো বটেই, সেই সঙ্গে সঙ্ঘ পরিবারের অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরাও যোগ দেন। সাধুসন্তরাও সঙ্গে ছিলেন। অযোধ্যায় নির্মীয়মাণ রাম মন্দিরের জন্য গোটা বাংলা জুড়ে মানুষের কাছে পৌঁছেছি আমরা। যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল, তা পূর্ণ করে দিয়েছেন বাংলার মানুষ। আমরা এখন আরও বেশি অর্থসংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছি।’’