নিজস্ব সংবাদদাতা: বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিক জগতে অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা মেগা ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’। শুরুর দিন থেকেই যেই সিরিয়ালের টিআরপি তুঙ্গে। এবার সেই ধারাবাহিকেই দর্শকদের কাছে বিকৃত ইতিহাস ও ভুল তথ্য পরিবেশন করার অভিযোগ উঠল বেহালার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের তরফে। বিশেষ করে সেই সিরিয়ালে কালীঘাট মন্দির ও সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের যে ইতিহাস দেখানো হচ্ছে, তাতেই অনেক ভুল-ভ্রান্তি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের সম্পাদক দেবর্ষি রায়চৌধুরী। পাশাপাশি তাঁদের মত, দরকার পড়লে রায়চৌধুরী পরিবারের সঙ্গে দেখা করেই সিরিয়ালের চিত্রনাট্য লেখা যেত। তাহলে আর এমন ভুল ইতিহাস দর্শকদের দেখতে হত না।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে এই ব্যাপারে বলতে গিয়ে দেবর্ষি বাবু জানিয়েছেন, সিরিয়ালে বাকি যা ঘটনা দেখানো হচ্ছে, তা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্যই করতে চান‌ না। কিন্তু তাঁদের পরিবার সম্পর্কিত যা সেখানে দেখানো হচ্ছে, তা একেবারেই ভুল এবং ভিত্তিহীন। অভিযোগ, সিরিয়ালের ১৪৫ নম্বর পর্ব থেকে কিংবদন্তি রায়চৌধুরী পরিবারের দু’টি চরিত্রকে আনা হয়েছে সিরিয়ালে। পরবর্তীতে ওই চরিত্রগুলির মাধ্যমে যা যা দেখানো হয়েছে, তাতেই বিস্তর ভ্রান্তি রয়েছে। এছাড়াও কালীঘাট মন্দির প্রসঙ্গ ও মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা সন্তোষ রায়চৌধুরীর চরিত্রায়ণে ভুল রয়েছে বলে অভিযোগ পরিষদের।

দেবর্ষি আরও জানাচ্ছেন, সিরিয়ালে ‘টাইমলাইন’ সংক্রান্ত বড়সড় ভুল রয়েছে। সিরিয়ালে দেখানো হয়েছে, সন্তোষ রায়চৌধুরী নিজে রাণী রাসমণির শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তাঁকে কালীঘাটের মন্দিরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। অথচ ইতিহাস অনুযায়ী, রাসমণির বিয়ে হয় ১৮০৪ সাল নাগাদ। এর ৫ বছর আগেই প্রয়াত হন সন্তোষ। সুতরাং, দু’জনের কখনও দেখাই হয়নি। এমনকি মন্দিরের সম্পূর্ণ হওয়াটাও দেখে যেতে পারেননি প্রতিষ্ঠাতা। পরে তাঁর কাজ সম্পূর্ণ করেন তাঁর নাতি রাজীব লোচন রায়চৌধুরী। এই পুরো হিসেবটাই সিরিয়ালে গন্ডগোল হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, এমনই আরও নানা ধরনের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ এনেছে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদ।