নিজস্ব সংবাদদাতা :- রাজ্যের রাজনৈতিক পরিসরে নতুন ধারার সূত্রপাত। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ বিপরীত রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে অনেক কিছু নিয়ে প্রতিযোগিতা দেখলেও ‘গণবিবাহ প্রতিযোগিতা’ বোধহয় এই প্রথম চাক্ষুষ করল। কদিন আগেই উত্তরবঙ্গে একটি গণবিবাহের আসরে সামিল হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পাল্টা হাওড়া বাগনান আজ এক গণবিবাহ আসরে গিয়ে উপস্থিত হলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ারে এক গণবিবাহের আসরে সামিল হন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ওই গণবিবাহ আসরে প্রথমে ঠিক হয়েছিল ৩০০ জোড়া যুগলের বিবাহ দেওয়া হবে। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৪৫০ যুগলের বিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে নব বিবাহিত দম্পতিদের হাতে উপহার তুলে দেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গণবিবাহের আসরে শামিল হওয়া সমস্ত দম্পতিকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী উপহার সরূপ তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে তারা পরস্পরকে যে এক চুলও জমি ছাড়তে রাজি নয় তা বোঝাতে বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের প্রধান পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় হাওড়ার বাগনানে অবস্থিত এক গণবিবাহের আসরে আজ উপস্থিত হন। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে তিনি সেখানে গান গেয়েছেন। এই বিজেপি নেতার সুরেলা গলায় হিন্দি গান শুনে গণবিবাহের আসরে উপস্থিত যুগলরা সহ অন্যান্য সবাই যথেষ্ট তারিফ করেন।
মনোবিদরা অবশ্য এই গণবিবাহ রাজনীতির মধ্যে বর্তমান সময়ের অস্থিরতার কথাই তুলে ধরছেন।তাদের মতে শীর্ষস্তরের রাজনৈতিক নেতাদেরও মনোভাব এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তারা মনে করেন আমার বিরোধী রাজনৈতিক নেতা যদি কাজটি করতে পারে তবে সেটি আমি বা করবো না কেন। সেই কারণেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় পাল্টা গণবিবাহের আসরের সামিল হয়েছিলেন বলে তাদের অভিমত।
যদিও গণবিবাহের এই রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে বাম-কংগ্রেস জোটের তরফ থেকে। তাদের বক্তব্য এই সমস্ত লোক দেখানো কাজকর্ম করে রাজ্যবাসীকে মূল সমস্যাগুলি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে তৃণমূল এবং বিজেপি।