খেলার মাঠে থেকে ভক্তদের কাছে প্রায় ভগবানের মতন হয়ে দাঁড়ানো কিছু ক্রীড়াবিদ যারা যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন, তাদের ঘটনাটা অবিশ্বাস্যই লাগে। কারণ সাধারণ একজন মানুষ থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে এসব মানুষের উত্থান অনেকটাই রূপকথার মতন বলে মনে হয় আমাদের সবার কাছে। ফলে অ্যাথলিট হিসেবে বিশ্বজুড়ে যাঁরা খ্যাতি আর জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তাঁরা নিজেরাও সেটা ধরে রাখতে চান নিজের নিজের পরিশ্রম দিয়েই। আপ্রাণ চেষ্টা করেন যাতে এতটুকুও ভুল কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে ফেলেন কখনও। অথচ আবার এমন ক্রীড়াবিদও রয়েছেন, নিজের তারকা হবার সুযোগ নিয়ে এমন কাজ করেন যা জনসমক্ষে তাঁকে ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করতে বিন্দুমাত্র সময় লাগাবেন না। নানান স্ক্যান্ডালে, বেটিং কেলেঙ্কারিতে খেলোয়াড়দের নাম নিয়মিতই জড়ায়। কিন্তু অনেক তারকা ক্রীড়াবিদ আছেন যাঁদের নাম উঠে এসেছে ধর্ষক হিসেবেও। কারোর ক্ষেত্রে প্রমাণের অভাবে সাজা হয়নি, আবার কাউকে বা কেরিয়ার জলাঞ্জলি দিয়ে জেল খাটতে হচ্ছে সেক্সুয়াল অ্যাসল্টের কেসে দোষী সাব্যস্ত হবার পর। একটু জেনে নেব এঁদের মধ্যে বিশেষ কয়েকজনের কথা-
টম পেইন- বাস্কেটবলের বিখ্যাত খেলোয়াড় টম পেইনকে আজ গোটা পৃথিবী চেনে ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ নামে। ১৯৭২ সালে একটি মহিলাকে ধর্ষণের অপরাধে পাঁচ বছর জেল খাটতে হয় তাঁকে। কিছুদিন বাদে আরেকটি ধর্ষণকাণ্ডে ছয় বছরের সাজা হয় তাঁর। এঁর পর আবার একটি ধর্ষণে অভিযুক্ত হন।
অ্যান্থনি লরেইন উইলমট– সাউথ আফ্রিকার ফার্স্ট-ক্লাস ক্রিকেটার অ্যান্থনি লরেইন উইলমট বা লোরি উইলমট ২০০০সালে একটি ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হন। বারো বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু ২০০৪ সালে এই ক্রীড়াবিদ আত্মঘাতী হন।
শেন ওয়ার্ণ– পৃথিবীবিখ্যাত এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের নাম একাধিকবার জড়িয়েছে মহিলাঘটিত নানান কেচ্ছায়। ২০০৩সালে সাউথ আফ্রিকার এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। যদিও তা প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি।
ডারেন শারপার- সেলিব্রিটি এই আমেরিকান ফুটবলারের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে দুজন মহিলা যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেন। একই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে অন্য আরও দুজন মহিলা আনেন। এর পরবর্তী দু বছরের মধ্যেই শারপারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি যৌন নিগ্রহ ও ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসে। সবমিলিয়ে তাঁকে যথাক্রমে কুড়ি বছর ও আঠারো বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বব হেউইট- অস্ট্রেলিয়ার এই প্রাক্তন খ্যাতনামা টেনিস প্লেয়ার তার খেলোয়াড়-জীবনে গ্র্যান্ড স্লাম সহ অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার জিতেছিলেন। অথচ আজ তিনি একজন ধর্ষক হিসেবে সমাজে নিন্দিত। ২০১১ সালে এক মহিলা অভিযোগ আনেন যে তাঁর দশ বছর বয়স থেকেই হেউইট তাঁর যৌন নিগ্রহ করে চলেছেন। এছাড়াও একাধিক রেপ-কেসে নাম জড়িয়েছে তাঁর।
মেল হল- মেজর লীগ বেসবল খেলোয়াড় বিখ্যাত মেল্ভিন হল বা মেল হল আজ কারাবন্দি। একাধিক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে তাঁকে আদালত দীর্ঘ পঁয়তাল্লিশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে।
মারলন কিং– বিখ্যাত সকার খেলোয়াড় মারলন কিংকে আঠারো মাসের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল একটি মহিলাকে ঘুসি মারার এবং তারপর তাঁকে যৌন নিগ্রহ করার অপরাধে। তবে জেল থেকে ছাড়া পাবার পর আবার তিনি নিজেকে খেলার জগতে ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন।
রবিনহো– এসি মিলান এবং রিয়াল মাদ্রিদের খ্যাতনামা স্ট্রাইকার রবিনহো আজ জেলের ভেতরে। ২০১৩ সালে একটি যৌন নিগ্রহের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হবার পর আদালত তাঁকে নয় বছরের কারাদণ্ড দেয়।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো– ফুটবলের দুনিয়ার বেতাজ বাদশা রোনাল্ডোও রেহাই পাননি যৌন কেলেঙ্কারির হাত থেকে। ৩৪ বছর বয়সী এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে এই ক্রীড়াবিদ লাস ভেগাসের এক হোটেলে তাঁকে ধর্ষণ করেন। রোনাল্ডো এদিকে দাবি করেছেন তাঁদের মধ্যে যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় সেখানে তাতে উভয়েরই সম্মতি ছিল। আদালতে এই কেসের ফয়সালা হয়নি এখনও।
[…] কার্দেশিয়ান- রোনাল্ডোর প্রেমিকাদের মধ্যে অন্যতম ‘…ম কার্দেশিয়ান। ম্যানচেস্টার […]
[…] আকমল– ত্রিশ বছর বয়সী এই পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে চলতি বছরেই ক্রিকেট থেকে তিন […]