নিজস্ব সংবাদদাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বিরোধী শিবির। এমনকি ভোটের সময় ১৪৪ ধারা কিংবা জরুরি অবস্থা জারি করার দাবি তুলতেও শোনা গেছে বিরোধী শিবিরকে। এমতাবস্থায় ১৪৪ ধারা জারি নিয়েই নতুন রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট।
দেশ বা রাজ্যের যে কোনো প্রান্তে ১৪৪ ধারা জারি করার দরকার পড়লে আগে থেকে যুক্তিসঙ্গত কারণসহ তা ঘোষণা করতে হবে সংশ্লিষ্ট সরকারকে, এদিন এমনটাই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে আচমকা ঘোষণা করে ১৪৪ ধারা কার্যকর করার দিন আর রইল না। অনেকক্ষেত্রেই এই ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞতাবশত তৈরি হয় অশান্তি। তা এড়াতেই এই যুগান্তকারী রায় দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার ১৪৪ ধারা জারি করা সম্পর্কে সরকারকে এই নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু আগে থেকে ঘোষণা করাই নয়, সরকারি ওয়েবসাইটেও এ ব্যাপারে যথাযথ নোটিশ জারি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে। এছাড়া, নাগরিকদেরও দেওয়া হয়েছে ক্ষমতা। বলা হয়েছে, যদি কোনো নাগরিক সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ১৪৪ ধারার নোটিশ অযৌক্তিক মনে করেন তবে তার বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জও জানাতে পারবেন তিনি। শীর্ষ আদালতের এই ঐতিহাসিক রায় ভোটের আগে বাংলা তথা অন্যান্য রাজ্য গুলির ক্ষেত্রেও বিশেষ প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বস্তুত, এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত নেই বলে দাবি করে থাকেন বিরোধী নেতারা। তাঁদের মতে, সরকারের অঙ্গুলি হেলনেই চলে পুলিশ প্রশাসন। ফলে একুশের বিধানসভা নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে তার জন্য জরুরি অবস্থা অথবা রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদন জানিয়ে একাধিকবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে দেখা গেছে বিরোধী শিবিরকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকাকে যে তাঁরা খুব একটা ভালো চোখে দেখবেন না, তা বলাই বাহুল্য।