নিজস্ব সংবাদদাতা: বোর্ডের কাছ থেকে কিছুদিনের জন্য ছুটি চাইতেই বিভিন্ন মাধ্যমে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। জল্পনা চলছিল, তিনি বিয়ে করতে পারেন। তবে পাত্রী কে হবে, তাই নিয়ে জল্পনার অন্ত ছিল না। অবশেষে আজ, সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রখ্যাত ক্রীড়া সঞ্চালিকা সঞ্জনা গণেশনের সঙ্গে পাঞ্জাবি নিয়মে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার যশপ্রীত বুমরা। গোয়ার এক বিলাসবহুল হোটেলে বিয়ের সব বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। আজকের ছিমছাম অনুষ্ঠানে শুধু দুই পক্ষের পরিবারের লোকজন ও পাত্র-পাত্রীর খুব কাছের কয়েকজন বন্ধুই উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, অতিথি সংখ্যা বড়জোর ২০ জন ছিল।
আগত অতিথিদের মারফৎ জানা গিয়েছে, এই বিবাহ আসরে মুঠো ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বুমরা-সঞ্জনা-সহ তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এই বিবাহ পর্ব নিয়ে শুরু থেকেই বেশ গোপনীয়তা বজায় রেখেছিলেন। ফলে গত কয়েক দিন ধরে ভারতীয় দলের তারকার বিয়ে নিয়ে গুঞ্জন চলছিল চরমে। যদিও বিয়ে মিটতেই দ্বিতীয় ইনিংসের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই পোস্ট করেন বুমরা। সেই ছবি টুইটারে আসতেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
টুইটারে বুমরা লিখেছেন, “ভালবাসা তার পথ খুঁজে তোমার কাছে চলে এসেছে। একরাশ ভালবাসা নিয়ে আজ আমাদের নতুন পথ চলা শুরু হল। আজকের দিনটা আমাদের কাছে খুবই কাছের। খুবই প্রিয়। সবার কাছে আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা আশা করি।” উল্লেখ্য, গতকাল বিয়ের সব আচার অনুষ্ঠান ছাড়াও সঙ্গীতের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও ছিলেন দুই পরিবারের গুটিকয়েক সদস্যই। এমনকি সেখানেও কারও কাছে মুঠো ফোন ছিল না। কারণ, এই বিয়ের অনুষ্ঠানকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতে রাজি ছিলেন না যশপ্রীত ও সঞ্জনা।
মোতেরায় গোলাপি বলের টেস্ট খেলার পর থেকেই ছুটিতে রয়েছেন এই তারকা জোরে বোলার। সেই সময় বিসিসিআইয়ের তরফে বলা হয়েছিল ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নিয়েছেন বুমরা। আর এরপর থেকেই চলছিল একের পর এক গুঞ্জন ও তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা নিয়ে জল্পনা। বেশ কয়েক বছর আগে বিসিসিআইয়ের বাৎসরিক অনুষ্ঠানেই দু’জনের প্রথম সাক্ষাত হয়েছিল। আর সেখানেই ২৭ বছরের সঞ্জনার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্কের শুরু। যদিও সঞ্জনার সঙ্গে প্রেমের ব্যাপারটা অনেক বছর ধরেই গোপন করে রেখেছিলেন বুমরা। তবে তাঁদের সেই গোপন কথাটি আর গোপন রইল না।