একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনই আমাদের বেঁচে থাকার, আমাদের যাপনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। এখন ঘরে ঘরে, বা বলা উচিত সাধারণ মানুষের হাতে হাতে মোবাইল থাকার সুবাদে আর স্যোশাল মিডিয়ার দৌলতে, ঘরে বসেই আমরা নানান ধরণের ভাইরাল ভিডিও দেখতে পাই। কখনও সেই ভিডিও আনন্দের নয়, কখনও আবার দুঃখের। কখনও সেই ভিডিও দেখে আমরা খুশিতে মেতে উঠি, আবার মজাদার ভিডিও দেখে অনেকেই তা স্মৃতির মণিকোঠায় যত্ন সহকারে তুলে রাখি। এমনকি নিজের আপনজনদের মধ্যে শেয়ারও করি। সেরকমই একটি পুরনো ভিডিও ফের ভাইরাল হয়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়।
লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বন্যপ্রাণীদের মধ্যে সব সময়ই একটা মিষ্টি খুনসুটি লেগেই থাকে। অনেক সময় মানুষজন সেগুলি দুচোখ ভরে দেখেন, আবার কখনও তা ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরা বন্দী হয়ে থেকে যায়। তবে শুধুমাত্র ক্যামেরা বন্দী হয়ে থাকাই নয়, বেশিরভাগ সময় অনেকেই তা স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিজের ভালোলাগা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেয়।
এভাবেই কিছুদিন আগেও এক ময়ূর এবং এক কাঠবেড়ালির খুনসুটির একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভীষণ ভাইরাল হয়ে যায়। কোন এক পর্যটন স্থানে বেশ কয়েকটি ময়ূর আপনমনে নিজেদের মধ্যে খেলা করছিল। হঠাৎ করে সেখানে কোথা থেকে একটি কাঠবেড়ালি এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এরপর কাঠবেড়ালিটি আচমকাই একটি ময়ূরের পালক ধরে টানাটানি শুরু করে। খেলার ছলে ময়ূরের পালক ধরে টানায় ময়ূরও পড়ে বিপাকে।
একদিকে তার কষ্টও হচ্ছে, আবার অন্যদিকে কাঠাবেড়ালিটিও মজা করছেন। ময়ূরটিও হাল ছাড়ে না। নিজেকে বাঁচাতে এক ঝটকায় পালকগুলো সরিয়ে নেয়, আর কাঠবেড়ালিও ঝটকা খেয়ে দূরে সরে যায়। ময়ূর কাঠবেড়ালির খুনসুটির এই মজাদার ভিডিও এক পর্যটক ক্যামেরা বন্দী করে নেয় এবং তিনি সেই ভিডিওটি স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেন। যা পরবর্তীতে ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়ে যায়। এর আগেও এমনই একটি কাঠবেড়ালি আর ময়ূরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে দেখা গিয়েছিল, কাঠবেড়ালিটি ময়ূরের চঞ্চু ধরে বসে আছে। মুম্বইয়ের বাবুলনাথ মন্দিরের সেই ছবি রীতিমত ভাইরাল হয়েছিল দেশজুড়ে চলতে থাকা ভরা লকডাউনের বাজারে।