টলি পাড়ায় কান পাতলেই রোজই কোন না কোন গুঞ্জন উঠে আসে। আর সেই গুঞ্জন যে রসালো হবে তা কারোর অজানা নেই। এই গুঞ্জনের মাঝে চিরসবুজ অর্থার আভারগ্রীন টপিক হল মিমি নাকি নুসরত। যে টপকে কোনদিন জং ধরবে না। ওল টাইম হট এন্ড টপ।
মিমি নাকি নুসরত
দেখতে গেলে কারোকেই কিন্তু আলাদা করা যায় না। দুজনেই সমান পদ অধিকার করে আছে। এক, টলিউদের টপ নাইকাদেরদের তালিকায় এরা অন্তভুক্ত। দুই, উভয়েই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সংসদ। তিন, সম্প্রতি দুজনি টিকটকার হিসেবেও সকলের মন জিতেছেন।
এক্ষেত্রে সমান হলেও যে অভ্যন্তরীন যুদ্ধ নেই তা ভাবা বোকামির লক্ষন। অভিনেত্রী আর ইর্ষা থাকবে না তা অনেকটা সুগার রুগীদের রসোগোল্লা পাস্টিকে ভরে খাওয়ার মতো অর্থাৎ সোজা কথায় অবাস্তব । দুজনেই ক্যারিয়ারস্টিক তাই কে কাকে টেক্কা দিয়ে উপরে উঠবে তা সকলের সুম্মুখে প্রকাশ্যে না আনলেও ভেতরে সর্বক্ষন ফন্দি আটে। তারা যে টেক্কা দেয় তা ধামাচাপা দিলেও মানুষের তীক্ষ্ণ নজর এড়িয়ে যাওয়ার সাধ্যি নেই। মিমি বারংবার নিজের গান রেকর্ড করেছেন এবং সেই গানের ভিডিও অ্যালবাম বার করেছেন। আবার উলটোদিকে সেই একই গলিতে না গিয়ে মোড়টা সামান্য বদলেছে নুসরত। মহালয়ার দিন স্যশাল মিডিয়ায় দুর্গাবেশে ত্রিশূলহস্তে ভিডিও শ্যুট করতে দেখা গেছে তাকে । তাহলে কি সেটা মিমি কে টেক্কা দেওয়ার জন্য ছিল? আর এই টেক্কা দিতে গিয়েই কি নুসুরতকে নেটাগরিকদের ট্রলের স্বীকার হতে হল ? তাহলে কি নুসরতের থেকে মিমির কদর বেশী?
অভিনয় থেকে রাজনীতি কেউ কাউকে ছাড়ছে না । এটা কি সত্যি বন্ধুত্ব নাকি উচ্চতার শিড়িতে ওঠার লড়াই? যাতে দুজনেই দুজনের গতিবিধির পথে নজর রাখতে পারে। জগত সম্মুখে তারা নিজেদের প্রিয় বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেয়। আদতে কি তাই? সিনেমা জগতে কি সত্যি কেউ কারোর প্রিয় হয় আবার যদি তারা প্রথম সারির অভিনেত্রী হয়ে থাকে তো?
তো আপনাদের কি মনে হয় অভিনয় থেকে রাজনীতি উভয় দুনিয়ায় কে এগিয়ে। কে সফল দুই পেশাগত দিক থেকে ? কাকে আপনারা প্রথমে রাখছেন আর কাকে শেষে?