নিজস্ব সংবাদদাতা: এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন? সাপের গালেও চুমু খাচ্ছেন আবার ব্যাঙের গালেও চুমু খাচ্ছেন? বলিউড অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরীর কাণ্ডকারখানা দেখলে এই ধরণের বাংলা প্রবাদ মনে পড়তেই পারে। বাংলায় এসে একইসাথে পৃথক দলের হয়েই প্রচার করে ফেললেন বলিউডের এই বাঙালি অভিনেত্রী। ৫ এপ্রিল প্রচার করেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রর হয়ে। সোমবার আবার বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্তর হয়েও ভোট চাইতে দেখা গেল তাঁকে। আর এই ঘটনাতেই যাবতীয় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ১৭ এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ঠিক একই দিনে নির্বাচন রয়েছে বিধাননগর কেন্দ্রে। যেখানে তৃণমূলের সুজিত বসুর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে লড়ছেন দলবদলু সব্যসাচী দত্ত। আর এই দুই প্রার্থীর হয়েই ভোট চাইতে দেখা গেল মহিমাকে। ৫ এপ্রিল মহিমার সঙ্গে প্রচারের ছবি আপলোড করেছিলেন মদন মিত্র। সোমবার সকালে সব্যসাচীর সঙ্গে মহিমাকে প্রচার করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মহিমা জানান, সব্যসাচী দত্ত মেয়র হিসেবে ভাল কাজ করেছেন। তাই তাঁর হয়ে প্রচার করা জরুরি। আবার সব্যসাচী জানান, তিনি যখন মেয়র হয়েছিলেন তখনও মহিমা এসেছিলেন। এবারও এসে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ নিয়ে নেটদুনিয়ায় চর্চাও শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ কটাক্ষ করে লিখেছেন, “মহিমা প্রকৃত পেশাদারের কাজই করেছে”। কেউ আবার লিখেছেন, “যে বেশি টাকা দিতে পারে! কিন্তু কোবরা কোথায়?” কিন্তু মহিমা চৌধুরী ঠিক কোন পক্ষে, তা নিয়ে দ্বিধায় আমজনতা।
একুশের বঙ্গ নির্বাচনকে তারকাখচিত নির্বাচন বলাই যায়। ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলিতে একের পর এক তারকার আগমন ঘটেছে। একদিকে তৃণমূলের হাত ধরেছেন রাজ চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিকরা। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন যশ দাশগুপ্ত, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, রুদ্রনীল ঘোষরা। সিপিএমেও এবার তারকা প্রার্থী-যোগ ঘটেছে। টালিগঞ্জ কেন্দ্রেই সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী অভিনেতা দেবদূত ঘোষ।
আবার প্রার্থী না হলেও তৃণমূলের হয়ে প্রচারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন দেব-মিমি-নুসরত জাহানের মত টলি তারকারা। সিপিএমের হয়েও নিয়মিত প্রচারে দেখা যাচ্ছে শ্রীলেখা মিত্র, সব্যসাচী চক্রবর্তী, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, অনীক দত্তদের মত অভিনেতা-পরিচালকদের। এদিকে, বিজেপির হয়ে যদি হেভিওয়েট ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী সওয়াল করে থাকেন, অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারের হাল ধরতে এসে গিয়েছেন আরেক হেভিওয়েট বাংলার ‘ধন্যি মেয়ে’ জয়া বচ্চন।