নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশজুড়ে যখন ভয়ঙ্কর করোনার প্রাদুর্ভাব, যখন অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্টে মারা যাচ্ছেন একের পর এক মানুষ, ঠিক তখনই বড়সড় বিপর্যয় ঘটল মহারাষ্ট্রে। সেখানে এক হাসপাতালে অক্সিজেনের ট্যাঙ্কার লিক করে প্রাণ হারালেন বহু রোগী। এখনও অবধি সেখানে অন্তত ২২ জন করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের নাসিকে জাকির হোসেন হাসপাতালে এই ভয়ঙ্কর বিপর্যয়টি ঘটেছে। সেই হাসপাতালে মজুত রাখা অক্সিজেনের ট্যাঙ্কার লিক করায় সব অক্সিজেন ফুরিয়ে যায়। ফলে স্রেফ শ্বাসকষ্টে ধুঁকতে ধুঁকতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন একাধিক রোগী।
মর্মান্তিক এই ঘটনা ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছে দেশের নানা মহলে। সূত্রের খবর, আজ ওই হাসপাতালে অক্সিজেন বিপর্যয়ের ফলে অন্তত ৩০ মিনিট পর্যন্ত শ্বাসবায়ুর জোগান ব্যাহত ছিল। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই সাংবাদিকদের কাছে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন নাসিকের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর সুরজ মান্ধারে। জানা গিয়েছে, যে ২২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাঁরা সকলেই ছিলেন ভেন্টিলেটর সার্পোটে। বেঁচে থাকার জন্য অনবরত তাঁদের অক্সিজেন প্রয়োজন ছিল। হাসপাতালে ভর্তি মোট ১৫০ জন রোগীই ছিলেন অক্সিজেন সহায়তা নির্ভর।
এমন একটা হাসপাতালে কীভাবে এই ধরনের বিপর্যয় ঘটল? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এতে কোনও গাফিলতি আছে কিনা, সব ব্যাপারেই যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ। তিনি এদিন সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, “আমাদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে যে সমস্ত রোগীরা ছিলেন, তাঁরা সকলেই মারা গেছেন। তাঁদের যে ট্যাঙ্কার থেকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল সেটাই লিক হয়েছিল। এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করা হবে। হাসপাতালের গাফিলতি ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে।”