নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলায় সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে সবথেকে চর্চিত এবং হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। কারণ সেখানে সম্মুখ সমরে নেমেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলবদল করে বিজেপিতে যাওয়া মমতার একসময়ের বিশ্বস্ত সহযোদ্ধা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে গত ২৯ এপ্রিল। এমনকি ফলাফলও প্রকাশিত হয়ে ফের একবার সরকার গঠন করেছে তৃণমূল। কিন্তু এখনও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতেই রয়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই ছোট্ট জনপদটি। ছোট, অথচ কর্মকাণ্ডে এবং বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এর ব্যাপ্তি সুবিশাল!
তবে ভোট শেষের পর সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে ফের মুখোমুখি দুই ‘প্রার্থী’! একজন মুখ্যমন্ত্রী এবং আর একজন বিরোধী দলনেতা। ভোটযুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারী হারিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যিনি এক সময় তৃণমূলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন। তবে পরে দলে সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি হওয়ায় যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। অন্যদিকে, এবারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল বিপুল জয় পেয়েছে বললে ভুল বলা হবে না। তারা গতবারের থেকেও নিজেদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নিয়েছে। জিততে না পারলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নিয়েছেন।
যার ফলে, ফের তাঁকে ভোটে দাঁড়াতে হবে। মনে করা হচ্ছে তিনি উপনির্বাচনে জিতে নিজের পদ ধরে রাখবেন। নিয়ম মতো, ছ’মাসের মধ্যে তাঁকে ভোটে জিতে জয়লাভ করতেই হবে। এদিকে, বিজেপিও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে। ২০১৬ সালে তাদের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৩। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে বহুগুণ। তাদের এখন বিধায়ক সংখ্যা ৭৭। যদিও নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ ছাড়তে চলেছেন, যার ফলে তাদের বিধায়ক সংখ্যা হবে ৭৫। তবুও বাংলায় তারাই এখন প্রধান বিরোধী দল। তাই পদ্ম-শিবির ঠিক করেছে, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হবেন শুভেন্দু অধিকারী। এ কথা তারা ঘোষণা করে দিয়েছে। অর্থাৎ মমতা-শুভেন্দু ফের একবার মুখোমুখি হবেন। তবে এবার ভোটের ময়দানে নয়, বিধানসভায়। নন্দীগ্রামের পর আরও একবার। তবে এটা আরও বেশি সময়ের জন্য। অন্তত আগামী ৫ বছরের জন্য তো বটেই!