মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায় মেয়ের সঙ্গে বাবার নিষ্ঠুরতার ঘটনা সামনে এসেছে। হত্যার পর ১৪ বছরের মেয়ের লাশ ধর্ষণ করেছে বাবা। বলা হচ্ছে, বাবা প্রথমে মেয়েকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়ে প্রতিবাদ করলে বাবা দুষ্ট হয়ে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এরপরও এই দুষ্ট পিতা থেমে না থেকে মেয়ের লাশ ধর্ষণ করে। ঘটনার পর অভিযুক্ত বাবা নিজেই থানায় গিয়ে মেয়ের নিখোঁজের অভিযোগ লিখতে যান। পুলিশ তাকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুরো সত্য ফাঁস করে দেয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি গুনা জেলার একটি গ্রামের। গ্রামের ৪০ বছর বয়সী বাসিন্দা ক্যান্ট থানায় তার মেয়ের নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেছিলেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তার ১৪ বছরের মেয়ে হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। বাবার রিপোর্টে ক্যান্ট থানায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করলে, তদন্তের সময় মেয়েটির পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা জানতে পারেন, মেয়েটির বাবার সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছে। এখান থেকেই পুলিশের সন্দেহ হয় তাকে, এরপর পুলিশ তার বাবাকে আবারও কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুরো রহস্য ফাঁস করে দেয়।
অভিযুক্ত বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি তার মেয়েকে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যান। সেখানে মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বললে মেয়ে অস্বীকার করতে থাকে। বিষয়টি সবাই যাতে জানতে না পারে সে জন্য মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। অতঃপর তার প্রতি অন্যায় করেছে। লাশ জঙ্গলে ফেলে থানায় রিপোর্ট লিখতে পৌঁছায়।