মদ না সিগারেট? এই বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্কের নেই কোনো অন্ত | চিরাচরিত সতর্কীকরণঃ থাকা সত্তেও মানুষ কোনো ভাবেই মদ এবং সিগারেট কে বিদায় জানা বার পাত্র নই | কিশোর থেকে বৃদ্ধ এই নেশার ফাঁদে অধিকাংশই জর্জরিত | আসুন জেনে নেওয়া যাক মন্দের ভালো কোনটি |
যদি অপব্যবহার না করা হয় তবে অ্যালকোহল ধূমপানের মতো খারাপ নয়। আসলে মাঝেমধ্যে অ্যালকোহল পান করার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে | একটি সিগারেট পানে দেহে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, কিন্তু এক গ্লাস রেড ওয়াইন দেহের জন্য মোটেই সমস্যা তৈরি করতে পারে না বরং কিছু সুবিধা দিতে পারে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত যে কোনো নেশাই জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে | প্রচলিত মতে এই দুটি অভ্যাসই বেশ কয়েকটি সংখ্যক সম্ভাব্য নেতিবাচক স্বাস্থ্যের পরিণতি সহ কিছু নির্দিষ্ট ক্যান্সারের উচ্চতর ঝুঁকি নিয়ে আসে। অজানা বিষয়ে এটাই মদ্যপান এবং ধূমপান রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
অ্যালকোহল যখন অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করা হয় – সময়ের সাথে সাথে রক্তচাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হতে পারে (এরিথমিয়া হিসাবে পরিচিত) এবং হৃদয়কে দুর্বল করে তোলে সুতরাং এটি কার্যকরভাবে পাম্প করতে অক্ষম। এছাড়াও, অ্যালকোহল আপনার ট্রাইগ্লিসারাইডগুলি বাড়িয়ে তুলতে পারে যা রক্তে এক ধরণের ফ্যাট।
এবং যদি আপনি উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন তবে সচেতন হন যে অ্যালকোহল কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি আরও খারাপ করতে পারে। মদ্যপান ধীরে ধীরে লিভারের কর্ম ক্ষমতা-কে বিনষ্ট করে দেয়, এবং একসময় লিভার ফেলিওর এর মত ঘটনার স্বীকার হয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে । গর্ভবতী মহিলাদের মদ্যপানের ফলে তাঁরা তাঁদের ভাবী সন্তানের স্বাস্থ্যের ও মানসিক ঝুঁকি তৈরি করে দিয়ে থাকেন। এর ফলে জন্ম নেওয়া অনেক শিশু অপুষ্টি, বয়স আনুপাতিক উচ্চতা না বাড়া, স্বল্প স্মৃতি এরম নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে মদ মাদকাসক্ত ব্যাক্তি
ধূমপায়ীদের বিভিন্ন ক্যান্সার যেমন ফুসফুস, গলা, মুখ, মূত্রাশয় এবং খাদ্যনালীতে জীবনহানির ঝুঁকি বেশি থাকে।
ধূমপায়ীদের হার্ট অ্যাটাক, শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা (এম্ফিজমা, সিওপিডি, নিউমোনিয়া), উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, হৃদরোগ, পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজ এবং এওরটিক অ্যানিউরিজমের ঝুঁকি বেশি থাকে।
গর্ভবতী অবস্থায় ধূমপান করার ফল স্বরূপ কম ওজনের বাচ্চা জন্মানোর প্রবণতা বেড়ে যায় ফলে বাচ্চাটির জীবন ঝুকি পূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এবং জটিল থেকে জটিলতর সমাধানহীন সমস্যার সৃষ্টি হয়ে পারে | মনোবিজ্ঞানীদের মতে মাদকাসক্ত ব্যাক্তি ধূম্ৰপায়ী হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি | সে জন্য একই সময় মাদক সেবন এবং ধূম্ৰপাণ ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে |
তাই দৈনন্দিন ইঁদুর দৌড়ের জীবনে মানসিক চাপ থেকে রেহাই পেতে ধুম্রপানের চাইতে পরিমিত পরিমাণে অ্যালকোহল সেবনকে এক ধাপ এগিয়ে রাখাই ভালো |
[…] মদ আর সিগারেট, কিসে কতটা ক্ষতি মদ আর সিগারেট, কিসে কতটা ক্ষতি […]