নিজস্ব সংবাদদাতা: শুরু হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের বহু প্রতিক্ষীত বিধানসভা নির্বাচন। প্রথম দফা পেরিয়ে এখন চলছে দ্বিতীয় দফার মেগা দ্বৈরথের কাউনডাউন। কিন্তু এবারের নির্বাচনের বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই গেরুয়া শিবিরের গলায় কাঁটার মতো বিঁধে আছে মতুয়া সম্প্রদায়ের ক্ষোভ। দক্ষিণ ছাড়িয়ে ভোটের মাঝেই সেই অস্বস্তি পাড়ি দিল উত্তরবঙ্গে।
উত্তরবঙ্গের মালদা জেলার তিনটি আসনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মতুয়ারা, এদিন এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। জানা গেছে, মালদা, ইংরেজবাজার ও গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে মতুয়া সম্প্রদায়। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে তার তৎপরতাও। যে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ককে একুশের নির্বাচনে বড়সড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির, সেখানেই এই প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির।
যদিও মতুয়ারা প্রার্থী দিলে মালদার গেরুয়া শিবিরের ভোট ব্যাঙ্কের ওপর তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না দাবি করছেন জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল। আবার তৃণমূলের দাবি মতুয়ারা ঝুঁকে আছেন তাঁদের দিকে। মালদা জেলার তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার এদিন বলেন, গত নির্বাচনে মতুয়াদের ভুল বুঝিয়ে ভোট নিয়েছিল বিজেপি। এখন তাঁরা সে ভুল বুঝতে পেরেছেন। সব মিলিয়ে এই বিশেষ সম্প্রদায়কে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক সমীকরণ যে বেশ জটিল আকার ধারণ করছে তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে গিয়ে মতুয়া ধর্মমতের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম ভিটে দর্শন করেছেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলার নির্বাচনের আগে এ এক কৌশলী চাল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মতুয়াদের ভোট ব্যাঙ্কের উপর তৃণমূল বিজেপি দুই শিবিরেরই নজর রয়েছে। গত লোকসভা ভোটে মতুয়া অধ্যুষিত রানাঘাট ও বনগাঁ আসনে সাফল্য পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে এবার কেন্দ্রের সিএএ নিয়ে মতুয়াদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে বনগাঁর গেরুয়া বিধায়ক শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গেও। ভোট বাক্সে এর কী প্রভাব পড়ে সেটাই এখন দেখার।