নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোট শুরুর আগের দিনেই বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা আবহের পর এটাই হতে চলেছে তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। জানা গেছে, আগামী ২৬ মার্চ মতুয়া ধর্মমতের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মভিটে দর্শন করতে বাংলাদেশ যাচ্ছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আগে মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটকে পাখির চোখ করেই যে এই সফরের আয়োজন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।
বস্তুত, এ রাজ্যে মতুয়া ভোটকে যে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখছে গেরুয়া শিবির তা আগে থেকেই পরিষ্কার হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হোক বা জে পি নাড্ডা মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, মতুয়াদের উদ্দেশ্যে জনসভার আয়োজন করতেও দেখা গেছে গেরুয়া নেতৃত্বকে। সেই আবহেই এবার বাংলাদেশের ওরাকান্দিতে পা রাখছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সরকার।সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই ২৬ তারিখ ওপার বাংলায় পা রাখবেন নরেন্দ্র মোদী। পরের দিন ২৭ মার্চ সাতক্ষীরা ও ওরাকান্দিতে যাবেন তিনি। এই ওরাকান্দিতেই জন্ম গ্রহণ করেছিলেন হরিচাঁদ ঠাকুর। তাঁর মতাদর্শ বাংলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে পুত্র গুরুচাঁদ ঠাকুরের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রীর এই বাংলাদেশ সফরকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপির লোকজন তো ধর্মস্থান গুলো ঘু্রে বেড়ান হামেশাই। কিন্তু মতুয়াদের সমর্থন ওনারা পাবেন না।” উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে মতুয়াদের ভোট মোটামুটি পেয়ে এসেছেন তৃণমূলের প্রার্থীরাই। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ এবং রানাঘাট মতুয়া অধ্যুষিত এই দুই অঞ্চল থেকেই ভোটে জেতেন বিজেপি প্রার্থীরা। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও এই মতুয়া ভোটই পাখির চোখ প্রধানমন্ত্রীর।