পশ্চিমবঙ্গের কতকগুলি পর্যটন কেন্দ্র

কথায় আছে ‘বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে’….আর পশ্চিমবঙ্গ মানেই বাঙালির আবাস স্থল।
ভৌগোলিক আশীর্বাদ যেন আছে পশ্চিমবঙ্গে… একদিকে যেমন রয়েছে বিশাল পর্বত, আবার অন্যদিকে রয়েছে সমুদ্র, আছে জঙ্গলও। উত্তরের হিমালয় পর্বত মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে বরফাবৃত হয়ে, তার পাদদেশে জঙ্গলের সমাহার, সবুুুজের হাতছানি। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের নীল সমুদ্র যেন ধুয়ে দিয়ে যাচ্ছে তার পা। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভের জঙ্গল ও তাতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের উপস্থিতি। পশ্চিমে পুরুলিয়ার অনুচ্চ পাহাড়শ্রেণির আকর্ষণ আর পূর্বে ঐতিহাসিক নিদর্শন।

পশ্চিমবঙ্গ বরাবরই, তার সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি, পাণ্ডিত্যপূর্ণ শ্রেষ্ঠত্ব ও পর্যটন সম্ভাবনার জন্য সুপরিচিত।

দক্ষিণ বঙ্গ:

পশ্চিম বঙ্গের রাজধানী কলকাতা… আর কলকাতা হলো ‘city of joy’। একগুচ্ছ ঐতিহাসিক ও নান্দনিক উপকরণ নিয়ে সে যেন হাত বাড়িয়ে আহবান জানাচ্ছে…
“ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল”
কলকাতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ দর্শনীয় স্থান ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল। ভারতে ব্রিটিশ রাজত্বের শেষের দিকে মহারানী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিতে নির্মিত অকৃত্রিম সাদা এই ইমারত… এক শীর্ষ স্থাপত্যের নিদর্শন।
“আলিপুর চিড়িয়াখানা”
১৮৭৬ সালে ৪৫ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতার অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্র আলিপুর চিড়িয়াখানা। প্ৰতি বছর শীতের মরশুমে হাজারে হাজারে ভ্রমণ পিপাসু এখানে ভিড় করে।
“বিড়লা তারামণ্ডল”
১৯৬২ সালে বিড়লা গোষ্ঠী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এক শিক্ষামূলক সংস্থা বিড়লা তারামণ্ডল। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জ্যোতির্বিদ্যা মানমন্দির বলে খ্যাতি অর্জন করেছে।সারাবছর বহু পর্যটকদের কাছে টেনে আনে এই স্থাপত্য।
“হাওড়া ব্রিজ”
পশ্চিমবঙ্গের তথা কলকাতার অন্যতম আকর্ষণ হুগলী নদীর উপর নির্মিত হাওড়া ব্রিজ। এটি আবার রবীন্দ্র সেতু নামেও পরিচিত।
“সায়েন্স সিটি”
কলকাতায় অবস্থিত সায়েন্স সিটি এ রাজ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পর্যটন স্থল। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা গড়ে তোলার জন্য এই সায়েন্স সিটি গড়ে উঠেছে।

সমুদ্রের হাতছানি

You tube

“দীঘা”
সমুদ্র সৈকত বলতে প্রথমেই নাম আসে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘা। দীঘা তার সৈকতের জন্য পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সারাবছর ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ দীঘাতে বেড়াতে আসে। দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ও মনোরম আবহাওয়ার জন্য এটি পর্যটকদের আকর্ষণ করে বারবার।

“মন্দারমণি”
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চাউলখোলা থেকে প্রায় 14 কিলোমিটার দূরে এক দ্রুততম বর্ধনশীল পর্যটক আকর্ষণীয় কেন্দ্র মন্দারমণি। মন্দারমণির সৈকতে নির্জনে সূর্যোদয় দেখার আনন্দ অনস্বীকার্য। নির্জনতার তীর্থ ক্ষেত্র এটি।

গাইড লাইন:-
কিভাবে যাবেন: বাস এবং ট্রেনে দুভাবেই যাওয়া যায়। ধর্মতলা থেকে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬ টা অব্দি sbstc এর বাস পাওয়া যায়। প্রাইভেট বাস চলে সারা দিনরাত।
ট্রেন: তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, দীঘা সুপার এসি এক্সপ্রেস, কাণ্ডারি এক্সপ্রেস এ গিয়ে প্রয়োজনে গাড়ী ভাড়া।
ফেরার সময় দীঘা থেকে…
কোথায় থাকবেন: দীঘায় প্রচুর হোটেল আছে বিভিন্ন রেঞ্জে। মন্দারমণিতেও।
কখন যাবেন: সারা বছর।

“সুন্দরবন”
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বদ্বীপ এবং বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট হিসাবে, সুন্দরবন বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। বিখ্যাত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, সুন্দরবনেই দেখতে পাওয়া যায়।

সবুজ ও নীলের যুগপৎ হাতছানিতে সুন্দরবন সদায় প্রস্তুত।

পশ্চিম বঙ্গ:

you tube

“গড়পঞ্চকোট”
কলকাতা থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে পুরুলিয়ায় একটি অফবিট গন্তব্য গড়পঞ্চকোট। পুরুলিয়ার উত্তর দিকে পাঞ্চেত পাহাড়ের পাদদেশে শাল, পিয়াল, আর ঘন মহুয়ার জঙ্গলে ঘেরা গড়পঞ্চকোট যেন প্রকৃতির এক অসামান্য দান। প্রকৃতি প্রেমিকদের জন্য এক অসাধারণ জায়গা। চারিদিকে সবুজ জঙ্গলে ঘেরা ও নাম না জানা পাখিতে ভরা পাঞ্চেত পাহাড় আর বনভূমি প্রত‍্যেক ঋতুতে তার রূপ আর রং পাল্টায়। শীতে মনোরম আবহাওয়ার শেষে জঙ্গলের পাতা ঝরার রুক্ষতা, বসন্তকালে পলাশের আগুন রং আর বর্ষায় ঘন সবুজ দৃষ্টি ফেরানো যায়না।
একই সাথে ঘোরা যায় পাঞ্চেত বাঁধ, বিহারীনাথ পাহাড়, বড়ন্তি ও জয়চন্ডী পাহাড়। সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে বসে আছে সব্বাই।

গাইড লাইন:-
কিভাবে যাবেন:
সড়ক পথ: কলকাতা থেকে ভলভো বাস এ করে আসানসোল। সেখান থেকে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে বরাকর হয়ে গড়পঞ্চকোট। রেল পথ: রেল পথে গড়পঞ্চকোটের নিকটবর্তী স্টেশন হলো বরাকর। সেখান থেকে সরাসরি গড়পঞ্চকোটে যাবার গাড়ি পেয়ে যাবেন।
কোথায় থাকবেন: গড়পঞ্চকোটের গড়, বিরিঞ্চিনাথের মন্দির, জয়চন্ডী পাহাড়, বড়ন্তি তে মুরারডি লেক, কল‍্যানেশ্বরী মন্দির। 
কখন যাবেন: নভেম্বর থেকে মার্চ এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর।

“শান্তিনিকেতন”

শান্তি নিকেতন… শান্তির নীড়

“শান্তিনিকেতন”
বীরভূমের বোলপুরের শান্তিনিকেতন…
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত স্থান। পশ্চিমবাংলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
শাল, আকাশমনির জঙ্গল পেরিয়ে খোয়াই নদীর প্রেমে পড়বার আকর্ষণেই ছুটে আসা এখানে। বিস্তীর্ণ লাল মাটির রাস্তা পার হয়ে খোয়াই ও কোপাই নদীর কল ঘেঁষে শাল ও আকাশমণির জঙ্গলে শীতের কনকনে হাওয়ায় শিশির ভেজা পাতায় মর্মর ধ্বনি শোনা যায় কান পাতলেই। আর বসন্তে ডিজে ওঠে নতুন সাজে… সাথে সোনাঝুড়ির হাটের আকর্ষণ…পৌষ মেলা, বসন্ত উৎসব, জয়দেব কেদুলির মেলা আরো পর্যটক টানে বিভিন্ন সময়ে।

পশ্চিমবঙ্গ
Sangbad pratidin

গাইডলাইন:-
কিভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে শান্তি নিকেতন এক্সপ্রেস, গণ দেবতা এক্সপ্রেস, রামপুরহাট এক্সপ্রেস এ বোলপুর। সেখান থেকে রিক্সা বা অটোতে।
কোথায় থাকবেন: অসংখ্য লজ বা হোটেল রয়েছে এখানে।
কখন যাবেন: সেরা সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস।

পূর্ব বঙ্গ বা মধ্য বঙ্গ:

“মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারী”
ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত, মুর্শিদাবাদ হল পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রাচীন শহর। এটি এক সময় ছিল বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যার রাজধানী। ইতিহাস যেন এখানে থমকে আছে। আপনি গেলেই কথা বলবে কানে কানে, জানাবে সেই সব ইতিহাস যা এখন জানেন না আপনি।
মুর্শিদাবাদে গঙ্গার পাশেই বিশাল এলাকা জুড়ে হাজার দুয়ারী প্রাসাদের ব্যাপ্তি। সমস্ত এলাকার পরিমাপ প্রায় ৪১ একর। বিশাল সেই জমিতে যেমন রয়েছে হাজারদুয়ারী প্রাসাদ, ঠিক তেমনই রয়েছে আরো কিছু দর্শনীয় স্থাপত্য ও বস্তু – যেমন, বিশাল ইমামবাড়া, সিরাজের আমলের মদিনা, বাচ্চাওয়ালী কামান, ঘড়ি মিনার ইত্যাদি।
এছাড়া আছে কাঠগোলা বাগান, কাটরা মসজিদ, নশিপুর রাজবাড়ী, আজিমুন্নিসার সমাধি ইত্যাদি ঐতিহাসিক নিদর্শন।

গাইড লাইন:-
কিভাবে যাবেন: বাস এবং ট্রেনে দুভাবেই যাওয়া যায়। ধর্মতলা থেকে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬ টা অব্দি sbstc এর বাস পাওয়া যায়। প্রাইভেট বাস চলে সারা দিনরাত।
ট্রেন: হাজার দুয়ারী এক্সপ্রেস, তিস্তা তোর্ষা এক্সপ্রেস, রাধিকাপুর, ভাগীরথী সহ বহু ট্রেন। প্রয়োজনে গাড়ী ভাড়া।
কোথায় থাকবেন: বহরমপুর, লালবাগে প্রচুর হোটেল আছে।
কখন যাবেন: সারা বছর।

উত্তরবঙ্গ:

you tube

দার্জিলিং”
মেঘের স্বর্গ রাজ্য দার্জিলিং সৌন্দর্যের রানী। টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অনুপম সৌন্দর্য প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। কাঞ্চনজঙ্ঘার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত এত মনোরম যে আবালবৃদ্ধবনিতা তা দেখবার জন্য উদগ্রীব।
দার্জিলিং এর বাতাসিয়া লুপ দার্জিলিং এর মনোরম ট্রেন রুট। পাহাড়ের শীর্ষ টানেলের মধ্যে দিয়ে ট্রেনে রোমাঞ্চকর যাত্রায় মুগ্ধ হয়ে ওঠে সকলে।
দার্জিলিং এর বিশেষ আকর্ষণ রোপ ওয়ে, ৫৫০০ ফিট উঁচু থেকে চা বাগানের উপর ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা অভূতপূর্ব। এছাড়া রিভার রাফটিং ইন তিস্তা ও ট্রেকিং তো আছেই।
‘ঘুম মনেস্ট্রি’র ১৫ ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট বুদ্ধ মূর্তি এখানকার প্রধান আকর্ষণ। পিচ প্যাগোডা অসাধারণ শৈল্পিক নিদর্শন।
পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে চা বাগানে ছবি তোলেনি এমন মানুষ হাতে গুনে পাওয়া যাবে। ‘হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট’ দার্জিলিং এর এক প্রাচীন চা বাগান। চা বাগানেই চা খাওয়া ও কেনার সুবিধাও আছে। এই চা বাগান থেকে পুরো শহরকে দেখা যায়… সে সৌন্দর্য বর্ণনা করার ভাষা নেই।

images 20
You tube

লেপচাজগত
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে এত পাহাড়ি স্পট আছে যা লিখলে একটা সম্পূর্ণ বই হয়ে যাবে। দার্জিলিং এর পর টুক করে ঘুরে আসা যায় লেপচাজগত থেকে।
দার্জিলিং থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাহাড়ঘেরা একটি নির্মল নির্জন গ্ৰাম। “লেপচা” উপজাতির মানুষ একসময় এখানে আধিপত্য বিস্তার করত, সেই থেকেই নাম এমন।
ওক, পাইন, রডোডেনড্রনে মোড়া রাস্তার দুধারে হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়বে বাহারি ফুল ছাড়াও প্রচুর পাখি। ফায়ার-টেল্ড সানবার্ডের মত বিরল পাখিও চোখে পড়তে পারে। বিরল প্রজাতির কিছু অর্কিডও দেখতে পাওয়া যাবে।
মেঘ এখানে ইতস্তত বিক্ষিপ্তভাবে ছুঁয়ে যাবে যখন তখন। আর যদি মেঘলা আকাশ না থাকে তবে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার স্বর্গীয় অভিজ্ঞতাটা নিজের ঝুলিতে পুরে ফেলা যাবে। তবে কাঞ্চনজঙ্ঘা হতাশ করে না স্বভাবতই।
হাতে সময় ও পকেটে টাকা থাকলে একই সাথে ঘুরে নেওয়া যেতে পারে মিরিক, ঘুম, কালিম্পং-কার্শিয়াং, শিটং, চটকপুর… আরও আরও কত জায়গা।

গাইডলাইন:-
কিভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে বাস বা ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি। এরপর ভাড়া বা শেয়ারড জীপে। 
কোথায় থাকবেন: বিভিন্ন হোম স্টে’র ব‍্যবস্থা রয়েছে এখানে।
কখন যাবেন: সেরা সময় অক্টোবর থেকে এপ্রিল।

ডুয়ার্স… জঙ্গলের ফিসফিসানি…

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরা সবুজের হাতছানি নিয়ে হাজির “ডুয়ার্স”। 
হিমালয়ের পাদদেশ তথা সমভূমি ও পর্বত অঞ্চলের মিলনস্থানে ডুয়ার্স এর অবস্থান।পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জুড়ে ডুয়ার্সের অবস্থান। ডুয়ার্স যেন… সবুজ এক পাহাড়িয়া প্রকৃতির হাতছানি।
অপরূপ সুন্দর একটি জায়গা, যেখানে একদিকে চা বাগান এবং অন্যদিকে নদী, জঙ্গল আর পাহাড়িয়া গ্রামেরা থাকে হাত ধরাধরি করে। 
বক্সা টাইগার রিজার্ভ, বক্সা ফোর্ট, গরুমারা, জাতীয় উদ‍্যান, চেলসা, জলদাপাড়া জাতীয় উদ‍্যান, রাজাভাতখাওয়া, বিন্দু, হাসিমারা, গোরুবাথান ইত্যাদি জায়গা প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে জেম অপেক্ষা করছে।

গাইড লাইন:-
কিভাবে যাবেন: কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ধরে নিউ মাল জংশনে নেমে সেখান থেকে চালসা হয়ে লাটাগুড়ি আসতে হবে। বাস বা ভাড়া গাড়ি মিলবে। দূরত্ব ২৫ কিমি। 
তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ও কামরূপ এক্সপ্রেস ধরে নিউ ময়নাগুড়ি নেমেও এখানে আসা যায়।
আবার নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সড়কপথে ১.৪৫ ঘন্টায় সরাসরিও চলে আসতে পারেন।
কোথায় থাকবেন: লাটাগুড়িতে থাকার জন্য বেশ কিছু বেসরকারি ব্যবস্থা আছে। সরকারি পর্যটক আবাসে অন্যান্য জায়গায়।
কখন যাবেন: সারা বছরই ডুয়ার্স যাওয়া যায় তবে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গরুমারা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ‍্যান বন্ধ থাকে।