নিজস্ব সংবাদদাতা- করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ফের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল দেশে। এবারের ঘটনাস্থল প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাট। সেখানকার একটি হাসপাতালের এক সাফাই কর্মী করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার মাত্র দু’ঘন্টা পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে অভিযোগ। মৃতসাফাই কর্মীর দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে তবেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।
গুজরাটের ভদোদরার একটি হাসপাতালের সাফাই কর্মী ছিলেন জিগ্নেশ সোলাঙ্কি। তিনি ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়ম মতো আধঘন্টা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসে থাকেন। তারপর বাড়ি ফিরে যান। তার স্ত্রী দিব্যা সোলাঙ্কির দাবি জিগ্নেশ বাড়ি ফিরে এসে মেয়ের সঙ্গে খেলছিলেন, হঠাৎই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের স্ত্রী বলেন, “আমরা জানতাম না উনি ভ্যাকসিন নেবেন বলে। এই নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। বাড়ি ফিরে আসার পরে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান সব শেষ।” মৃতের পরিবারের দাবি করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলেই এই সাফাই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে।
ভদোদরার ওই হাসপাতালের সুপার রঞ্জন আইয়ার দাবি করেছেন ৩০ বছর বয়সে জিগ্নেশ সোলাঙ্কি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। বুকে ব্যথার কারণে দেড় বছর আগে তাঁকে নাকি ওই হাসপাতালেই চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “ওই সাফাই কর্মীর উচিত ছিল নিজের শারীরিক পরিস্থিতির যাবতীয় তথ্য জানিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়া। কিন্তু তিনি তা করেননি। তবে আমরা দেহ ময়নাতদন্ত করে দেখছি। যাবতীয় রিপোর্ট আসলে তবেই বলতে পারব ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে।”
ঘটনা হল ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হওয়ার পরে বেশকিছু স্বাস্থ্য কর্মী ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে মারা যায়। এখনও পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনায় ভ্যাকসিনকে প্রশাসনের তরফ থেকে দায়ী করা না হলেও, এই ঘটনাগুলি সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। যা ভ্যাকসিন প্রদান প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। সরকারের উচিত যাবতীয় তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা। তাহলে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যে ভয়ের আবহ তৈরি হয়েছে তা কাটতে পারে।