ভারত ও চিনের যুদ্ধ নতুন কাহিনী নয়। বেশ কিছু বছর ধরে চলছিল ঠাণ্ডা যুদ্ধ। একে ওপরের উপর আঘাত না করলেও এই বছর তারও ফিতে কেটেছে , লাদাক সীমান্ত দখলের লড়াইয়ে দুই দেশই বরফে নেমেছে । দেশের জওয়ান শহীদ হয়েছে। সাদা বরফে হয়েছে লাল। ফলে দুই দেশের মধ্যে মিষ্টতা্র থেকে তিক্ততাই বেশী, তার উপর আবার এসে জুড়েছে করোনা ভাইরাস। আর এই তিতকুটে সম্পর্কের জেরে ভারতের সিধান্তস্বরূপ ব্যান করা হয়েছে ১০০ বেশী চিনা আপ যার ফলে একপ্রকার বাজ পড়েছে চিনা অর্থনিতিতে।

unnamed 1 Google Play
ছবি সৌজন্য Google play store

ভারতের মান রক্ষার্থে বাঙ্গালীর হাতে তৈরি অ্যাপ

কিন্তু অন্যদিকে তাকালে দেখা যাবে চিনের পাশাপাশি খানিকটা বাজ এসে পড়েছে সাধারণ ভারতবাসীর জীবনে। গেজেটে অভ্যস্ত দেশবাসীর ডিজিটালি ভরসা অনলাইন সপিং থেকে, অনলাইন পড়াশুনা, অফিস মিটিং সব কিছু ঘরে বসে। আর এই সকলের একমাত্র ভরশা ছিল চিনা অ্যাপ। কিন্তু এখন তো মাথায় হাত । এখন করণীয়! ঠিক সেই মুহূর্তে মুশকিল আসানরূপে উদয় হল অর্ণব মোদকের “দৃষ্টি” অ্যাপ। ঝগড়া বিবাদে নয় কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলল সে। বিদেশি শত্রুর মুখাপেক্ষী না হয়ে কীভাবে নিজেদের প্রযুক্তিতেই বাজিমাত করা যায়, তাই ভাবছিল সে  । আর যেমন ভাবা তেমন কাজ। ১৭ থেকে ১৮ ঘন্টা টানা অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের স্বপ্ন সাকার করে তুলল দৃষ্টি অ্যাপের মাধ্যমে। ভিডিও কলিং থেকে শুরু করে অনলাইন পড়াশুনা এমনকি যে কোন অফিসিয়াল মিটিং চালনা করার ক্ষমতা রাখে এই অ্যাপ।

ঘাটালের রাধানগরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আজ দেশের মানুষের চিন্তার অবশান ঘটিয়ে নিজের জয়ধ্বনি তুলেছে। জেদ, একগ্রতা আর মেধা- এই তিনের সংমিশ্রণে সে বানিয়ে ফেলল অভাবনীয় একটি অ্যাপ। উল্লেখ্য, মোবাইল অ্যাপের রেটিং সংস্থা ইন্টারন্যাশন্যাল এজ রেটিং কোয়ালিশন অর্ণবের ‘দৃষ্টি’ অ্যাপকে ( Dristi) ৩.৫ রেটিং দিয়েছে। অ্যাপটি গুগোল প্লে স্টোরে ও উপলব্ধ। কী কাজ এই অ্যাপের? ১০০ জন একসাথে ভিন্ন জায়গা থেকে যাতে যে কোন মিটিং চালনা করতে যাতে পারে তারও যথাযথ সুবিধা রয়েছে এই অ্যাপে।  বাজার চলতি অধিকাংশ অ্যাপেই যেখানে আধ ঘণ্টা কি এক ঘণ্টার বেশী কথা বলা যায় না সেখানে এই অ্যাপের দ্বারা ১০০ জনের সঙ্গে একসঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি যতক্ষণ খুশি সেই কথোপকথন চালানো যায়। । অর্ণবের দাবি, এই অ্যাপ থেকে তথ্য চুরি হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই।

unnamed 1 Google Play....
ছবি সৌজন্য Google play store