নিজস্ব সংবাদদাতা- আবারও নিষ্ফলা থেকে গেল কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলির বৈঠক। এই নিয়ে আট বার যুযুধান দুই পক্ষ আলোচনায় বসলেও কোনো সমাধান সূত্রে পৌঁছতে ব্যর্থ হল। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে আজকের বৈঠকে যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুই পক্ষ। কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃষক প্রতিনিধিরা পরস্পর তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। কৃষক নেতারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মুখের উপর বলে দেন তারা যদি কৌশল খাটিয়ে ভাবেন সফল হবেন, তাহলে আগামী দিনে সরকার এবং বিজেপিকে ঠিক কী পরিমান ভয়ঙ্কর দিন দেখতে হবে তা তারা আজ অনুমান করতে পারছে না। আজকের বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সামনেই কৃষক সংগঠনগুলির নেতারা স্লোগান তুলতে শুরু করে দেন, এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে আজকের বৈঠক ঠিক কতটা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল।
সর্বভারতীয় কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা সহ বাকি প্রতিনিধিরা যখন বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসছিলেন তাদের দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে হান্নান মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, “আজ বৈঠক খুবই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি কৃষি আইন প্রত্যাহার ছাড়া অন্য কোনো কিছু শুনতে রাজি নই। অন্যান্য বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া সহ সবকিছু নিয়েই আলোচনা হতে পারে, তবে তা কৃষি আইন প্রত্যাহার করার পর! ওরা যেমন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করার দাবিতে অটল আমরা তেমনি ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাজপথে ট্রাক্টর প্যারেড করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ঐদিন কেন্দ্র আমাদের ক্ষমতা বুঝে যাবে। আমরা ভেতরে একসঙ্গে স্লোগান তুলে জানিয়েছি হয় আমরা জিতব না হলে মরব। এটাই আমাদের অবস্থান।”
আরেক কৃষক নেতা বালবির সিং রাজেওয়াল আজকের বৈঠকে সরাসরি পীযূষ গোয়েলকে খালিস্তানি বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বিজেপির এই প্রভাবশালী নেতাকে বলেন, “একদিকে আপনারা আমাদের সঙ্গে কৃষি ঋণের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চালাবেন আর অন্যদিকে আপনাদেরই দলের লোকজন কৃষক আন্দোলনকে খালিস্থানি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন বলে কলুষিত করার চেষ্টা করবে, এই দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না!”
বৈঠক থেকে বেরিয়ে একাধিক কৃষক নেতা হুঁশিয়ারি সুরে জানান কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে তাদের সঙ্গে ছেলেখেলা করছে তাতে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে এর মূল্য দিতে হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে কৃষকরা যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে শুরু করেছে তাতে আগামী দিনে বড় রাজনৈতিক সংকটে পড়ে যেতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রসঙ্গত আগামী ১৫ জানুয়ারি কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আবার বৈঠক হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
[…] সম্পর্কে মুখ্যসচিবকে আগামী বুধবার, ১৩ জানুয়ারি রিপোর্ট দিতে হবে। সেই রিপোর্টের […]