নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃতীয়-চতুর্থ দফা ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্য বিজেপি শিবিরে জমতে শুরু করেছে বিক্ষোভের কালো মেঘ। ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশ। গতকাল সকাল থেকেই বিজেপির হেস্টিংসের কার্যালয়ের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ চলেছে। দলীয় কর্মীদের সেই অসন্তোষ আজ, মঙ্গলবারও থামেনি। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ চূড়ান্ত আকার ধারণ করার ফলেই নির্বাচনের আগে এইভাবে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে বিজেপি। এই সবকিছুর মধ্যেই আজ হঠাৎ গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা।
এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে কলকাতা পুলিশও। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। প্রসঙ্গত, বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই ক্ষোভ বেরিয়ে আসে দলীয় কর্মীদের। হাওড়ার পাঁচলা ও উদয়নারায়ণপুরের প্রার্থী বদল করার দাবিতে তাঁরা গতকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও একের পর এক স্লোগান ওঠে। জানা গিয়েছে, দলীয় কর্মীদের এই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
সোমবার হেস্টিংসের এই প্রবল বিক্ষোভের খবর পেয়েই তড়িঘড়ি সফর সূচি বদল করে গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় আসেন অমিত শাহ। বাংলায় এসে জরুরি বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে। কী কারণে বিক্ষোভ, কোথায় সমস্যা, কী ভাবেই বা তার সমাধান করা সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা করেন বৈঠকে।কর্মীদের অসন্তোষ প্রশমনে কিছু নির্দেশও দেন দলীয় নেতৃত্বকে। এরপর আজ সকালে ফের দিল্লী রওনা দেন অমিত।
উল্লেখ্য, গত রবিবারই তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। তাতে পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রে টিকিট পেয়েছেন মোহিত ঘাঁটি। এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই ক্ষোভ জমতে থাকে পাঁচলার একাংশ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। তারপরই পাঁচলা ও উদয়নারায়ণপুরে প্রার্থী বদলের দাবি নিয়ে হেস্টিংসে বিজেপির দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নেন তাঁরা। সেই মতো গতকাল সকাল থেকে হেস্টিংসে বিজেপি দফতরের সামনে কয়েকশো দলীয় কর্মী সমর্থক জমায়েত করেন। দেখা যায়, তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, পোস্টার। দফতরের সামনেই বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। সবমিলিয়ে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গৃহযুদ্ধেই ভাঙতে বসেছে গেরুয়া শিবির।