নিজস্ব সংবাদদাতা: গত লোকসভা নির্বাচনেই ইঙ্গিত মিলেছিল, সেই ইঙ্গিতকেই পুরোদমে বাস্তবায়িত করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরো শক্তিবৃদ্ধি করেছে বিজেপি। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকেই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। আর এই জল্পনায় দ্বিধাহীন ভাবে প্রথমেই উঠে এসেছিল যাঁর নাম তিনি আর কেউ নন, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
গতকাল আসন্ন নির্বাচনের মোট ১৪৮টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির। উত্তর থেকে দক্ষিণ, প্রার্থী তালিকায় পদ্ম চমক গতকালের ঘোষণাতেও ছিল অব্যাহত। কিন্তু দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় প্রার্থী হলেও দিলীপ ঘোষকে কিন্তু টিকিট দেয়নি ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন “প্রার্থী হচ্ছি না, প্রচারে থাকবো।” অর্থাৎ গেরুয়া রাজ্য সভাপতির প্রতি নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহদের স্পষ্ট নির্দেশ, “প্রচারে থাকুন, নির্বাচনে নয়”। যে নাম মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে আসছিল তাঁকেই কেন ভোটের টিকিট দিল না দল? রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা।
এর আগে মনে করা হচ্ছিল আগের মতোই খড়গপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সে সম্ভাবনায় আগেই ঢালা হয়েছিল জল। দিলীপ ঘোষের খড়গপুর থেকে গেরুয়া প্রার্থীর টিকিট পেয়েছিলেন টলিউড তারকা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এবার হয়তো দলের নির্দেশে সেই তারকা প্রার্থীর প্রচারেই ঘুরতে দেখা যাবে দিলীপ ঘোষকে।
বস্তুত সাম্প্রতিক অতীতে দিলীপ ঘোষ একাধিকবার একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন। এমন কিছু কিছু মন্তব্য তাঁকে করতে শোনা গেছে যা আপাতভাবে অবাস্তব, অমূলকও বটে। গরুর দুধ থেকে সোনা তৈরির যে থিওরি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ, পরোক্ষে সেটাই তাঁর ভোটের টিকিটের পথে বাঁধা হল না তো? মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী অবশ্য এখনও ঘোষণা করেনি বিজেপি, সে চমক তারা বাঁচিয়ে রেখেছে ভোটের পরের সময়ের জন্য। তার আগে রণকৌশলে নির্ভর করে ভোট বৈতরণী পার করাই এখন লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের।