নিজস্ব সংবাদদাতা: আর কয়েকদিন বাদেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। নির্বাচনী যুদ্ধের রণডঙ্কা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অন্দরেই। তৃণমূল না বিজেপি, কে ক্ষমতা দখল করবে সেই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর তরজা। মাঝখান থেকে কিছুটা ব্যাকফুটেই চলে গিয়েছে সূর্য মিশ্র-অধীর চৌধুরীদের বাম-কংগ্রেস জোট। এই জোট নির্বাচনে কতটা সফল হবে, সাধারণ জনমানসে কতটা দাগ কাটবে তা নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। তবে বারাসত আদালতের বার কাউন্সিল ভোটে এবার ব্যাপক সাফল্য পেল বাম-কংগ্রেস জোট।

কয়েকদিন আগেই সেখানে ভোট ছিল। মঙ্গলবার গণনা পর্ব শেষ হয় বারাসত আদালতের বার কাউন্সিলে। সেই গণনার পর দেখা যায় বাম-কংগ্রেস প্রার্থীরা ১৩টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনেই জিতেছে। এদিকে ৫টি-তে জিতেছে তৃণমূল। তবে বিজেপি সমস্ত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও একটি আসনেও জিততে পারেনি। তবে বেশ কয়েকটি আসনে দ্বিতীয় হতে পেরেছে তারা। সেই আসনগুলিতে তৃণমূল তৃতীয় শক্তিতে পরিণত করা হয়েছে।

বাম
Key khabor

হারের পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির আইনজীবী সেলের নেতা বলেন, “বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল- এই তিনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি আমরা। বিজেপিকে হারাতে বাকিরা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করেছিল। তারই ফল এই হয়েছে।” সেই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের প্যানেলে সাধারণ সম্পাদকের পদে লড়া আইনজীবী বলেন, “সামনের বছর এই বার কাউন্সিল আমরাই দখল করব।”

৫টি আসনে জিতলেও তৃণমূলের কোনও আইনজীবী সেলের নেতৃত্ব এই ফলাফল নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি। তবে বাম-কংগ্রেস আইনজীবীদের বক্তব্য, “তৃণমূল আর বিজেপির লড়াইয়ের মধ্যে বাম আর কংগ্রেসের জোট যে বিকল্প শক্তি হিসেবে ক্রমশ উঠে আসছে এই জয় তারই প্রমাণ।” তবে অনেকেরই মতে, এই ভোট দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের জল মাপতে যাওয়া ভুল হবে। তাঁদের মতে, ২০১০ সালের শেষ থেকে ২০১১-র শুরু পর্যন্ত রাজ্যের অধিকাংশ কলেজের ছাত্র সংসদ, স্কুল পরিচালন সমিতি, সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয় পেয়েছিল বামেরা। তা দিয়ে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে রাজ্যে পরিবর্তন রোখা যায়নি। এবারও তেমন কিছু আশা না করাই ভাল।