নিজস্ব সংবাদদাতা- বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলির ডাকা নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি কলকাতার রাজপথে। ধর্মতলার পর মৌলালিতেও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ফলে অসংখ্য বামপন্থী ছাত্র ও যুবক আহত হয়েছে বলে খবর। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুলিশেরও বেশকিছু কর্মী আহত হয়েছেন। এমনকি কলকাতা পুলিশের শীর্ষ স্তরের অফিসার ভিসি ইউএসডি রশিদ মুনির খান বামেদের ছোঁড়া ইঁটের আঘাতে আহত হন।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তাদের দুজন কর্মী আহত হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বামেদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশ আচমকা আক্রমণ করে। জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের মুখে পড়েও কর্মীসমর্থকরা এলাকা ছাড়তে না চাওয়ায় পুলিশ তাদের ওপর নির্মমভাবে প্রহার করে। পুলিশের এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জের ফলে অনেকেরই পা-হাত ভেঙে যায়, কিছু জনকে রাস্তায় পড়ে হাঁপাতে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে ৪ জন আন্দোলনকারী গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি।
কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা আন্দোলনকারীদের অনেককেই রাস্তায় ফেলে নির্লজ্জের মত লাথি মেরেছে। এরকম বেশ কিছু ফুটেজ নানা সংবাদমাধ্যমেও দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এমনকি পুলিশের লাঠির আঘাতে অনেকের মাথা ও চোখ ফেটে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বেশকিছু বামপন্থী ছাত্র-যুবক অভিযোগ করেন তাদের সতীর্থরা আহত হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে দেয়নি। অনেক বাক-বিতণ্ডার পর অবশেষে অসুস্থদের নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সকে আসতে দেওয়া হয়।
তবে সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ করে কয়েকজন বামপন্থী ছাত্র-যুব দাবি করেছেন জলকামান থেকে ছোঁড়া জলের মধ্যে ব্লিচিং পাউডার মেশানো ছিল, তার ফলে যাদের গায়ে জল লেগেছে তাদের নাকি গা-হাত-পা প্রচন্ড পরিমাণে চুলকাচ্ছে। এর আগে বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানের সময় অভিযোগ উঠেছিল বিষাক্ত রাসায়নিক জলের মধ্যে মিশিয়ে জলকামান দিয়ে তা আন্দোলনকারীদের দিকে ছোঁড়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে কলকাতা পুলিশের মারমুখী আচরণের বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের অনেকেই খুব একটা খুশি নন।