উৎসব মানে হল আনন্দের মেলবন্ধন। উৎসব হলো শুভেচ্ছা, প্রীতি, সৌহার্দ্য, আন্তরিকতা, সহানুভূতির প্রকাশ। দুর্গাপুজো যদি একটি উৎসব হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কেন ধর্মীয় বিভেদ সমাজের কিছু মানুষকে অপর মানুষকে থেকে আলাদা করবে !
আর এই প্রশ্নটিই বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায় বর্তমান সমাজে। বনগাঁ একটি ছোট্ট কিন্তু এর গুরুত্ব অপরিসীম, এখানকার সকলের কাছে। যেখানে প্রায় 40 শতাংশ পরিবার অ-হিন্দু এবং মুখ্যত মুসলিম সম্প্রদায়ের, সেখানে সমাজে একটি বিশেষ বার্তা পৌঁছে গেল এখানকার যুব সম্প্রদায় ও তাদের পরিকল্পনার মাধ্যমে যার নেতৃত্ব দিয়েছেন শ্রী দীনেশ দাস মহাশয়।
তার একটি ছোট্ট প্রচেষ্টা, যেখানে সে তার এলাকায় যেখানে করোনার ফলে নিত্যবৃত্ত দুরবস্থা সকলের ঘরে ঘরে, কোনোক্রমে সরকারি প্রচেষ্টা এবং অনুদানে আপ্লুত হয়ে ছোট ছোট ক্লাব গুলি কোন মতে এবছর দুর্গা পূজা করতে পারছে, কিন্তু প্রায় নেই বললেই চলে। সেখানে সে জাতি, ধর্ম, নারী, পুরুষ এবং শিশু নির্বিশেষে সকলের জন্য বস্ত্র এবং মাস্ক বিতরনের অনুষ্ঠান।
দীনেশ দাসের এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকাবাসী সকলেই, স্থানীয়দের মতে একজন তরুণ তরতাজা যুবকের এই ধরনের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ নিজের ব্যাপারে গ্রহণ করা আজকের দিনে বিরল থেকে বিরলতম উদাহরণ। সকলের বক্তব্য একটিই এই ধরনের প্রচেষ্টাবান যুবকের জন্য সকল গ্রামবাসীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে শুভেচ্ছা বার্তা, ভালবাসা এবং আশীর্বাদ।
পোলতা- চালকী নবারুণ সংঘের সেক্রেটারি শ্রী বিপ্লব দত্তের এ ধরনের অভিযান এই ক্লাব গঠনের পর বিগত দুই দশকেও হয়নি, এবং এটি স্বীকার করেছে এই ধরনের অনুষ্ঠান এখানে প্রথমবার। একই অনুষ্ঠানে ছিলেন গ্রামের তৃণমূলের দুই প্রতিনিধি নেপাল শর্মা, এবং মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস; ছিলেন আঞ্চলিক বিজেপির মণ্ডল কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি চম্পক বিশ্বাস এবং সিপিএমের ব্লক প্রেসিডেন্ট আমজাদ আলী। সকলের মতে এই ধরনের ইচ্ছাকে তাদের কুর্নিশ এবং সাধুবাদ। তাদের সকলের তরফ থেকে এধরনের প্রচেষ্টায় তারা সঙ্গী হতে পেরে নিজেরাও যেমন খুশি হয়েছেন তেমনি দীনেশ দাস কে তাদের অনুরোধ ভবিষ্যতের এ ধরনের সকল প্রচেষ্টায় যেন তাদেরকে সঙ্গে রাখা হয়।