দুপুর গরিয়ে বিকেল পেড়লেই প্রতি বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে সন্ধ্যাবাতির পর সেই যে বোকা বাক্সটা অন হল ব্যাস ঘুমতে যাওয়ার আগে অবধি চলতেই থাকে। আর সেই বোকা বাক্সে ঠাই পায় বাংলা সিরিয়াল। যদি বাড়ির বাকি সদস্য ভুলক্রমে চ্যনেল সরালো তবে আর রক্ষে নেই। বাড়ির গৃহিনীরা ধরা দেয় মা দুর্গা রূপে আর পুরুষরা অসুর সমতুল্য। এটা প্রতি ঘরের রোজের কাহিনী। বিকেল বেলায় চা খেতে খেতে ঘড় গোছাতে গোছাতে,সব্জি কাটতে বসে সিরিয়াল দেখা ম্যন্ডেটারি। জবা চাকরানী থেকে জার্জ হয়ে গেল কিংবা কালো শ্যামা ফর্সা হয়ে গেল্, হিয়া কেন উজানের প্রেম প্রত্যাক্ষান করল বা কোন নায়কের তিনটে বিয়ে হল এই সবই ধৈর্য্য সহকারে দেখা চাই। কিন্তু এই ডেইলি সোপ মানুষ কেন দেখে কোনদিন মাথায় এসেছে কারোর ? হ্যাঁ এখন বলবেন বিনোদনের জন্য, হ্যাঁ সে তো বটেই কিন্তু আরও একটি কারন আছে, সেটা জানেন কি? তা হল বাংলা সিলিয়ারের সুন্দরি নায়িকাদের সৌন্দর্য্যের আকর্ষণে। বাংলা সিরিয়ালের নায়িকারা কিন্তু কোন অংশে কম যায় না টলিউড হোক বা বলিউড তাঁদের রূপের ধার কিন্তু তীক্ষ্ণ। তারা সত্যি সুন্দরি রমণী, তাঁদের উষ্ণতা, রূপ, আবেদনে সকলকে মন্ত্রমুদ্ধ করে রেখেছে। তালে বাংলা সিরিয়ালের কয়েকজন সুন্দরি নায়িকাদের তালিকা করে নাওয়া যাক।
বাংলা টেলি জগতে টপ ১০ সেরা সুন্দরী
তিয়াশা রায় ( লেপচা)
সিরিয়লে তার নাম শ্যামা হলেও তার গায়ের রং কিন্তু মোটেও শ্যামের মতো কৃষ্ণ বর্নের মতে নয়, একদম দুধে আলতা বর্ন। কিন্তু অভিনয়ের খাতিরে কালো মেকআপ করলেও সেই রূপেও কিন্ত তার সৌন্দর্য চাপা পড়ে থাকে নি সেই রুপেও তাকে নজরকাড়া সুন্দরী লাগে । কারন সে যে সত্যি সুন্দরি তাই তার রূপের যৌলুস সত্যি দর্শককে মন্ত্রমুগ্ধ করছে।
মধুমিতা সরকার
বোঝে না সে বোঝে না সিরিয়ালে পাখির চিরত্রে দুষ্টু মিষ্টি অভিনয়ে খ্যাত হলে সে তার ধারালো রুপ সকলকে ঘায়েল করে দিয়েছে। তার উষ্ণতা, আবেদন সে শুধু সিরিয়ালের গন্ডীতে আবন্ধ রাখেন নি। বোল্ড রূপে তার আবেদন জাহির করেছে টলিউডে। তাই সুন্দরি তলিকায় তার নাম কোনদিন বাদ পড়বে না।
তৃনা সাহা
বাংলা সিরিয়ালের সুন্দরীদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে আর সেখানে তৃনা থকবে না তা কখনও হয়। টেলি জগতে নিজের রূপের আবেদনে সকল দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে। খোকাবাবু হোক কিংবা খড়কুটে তার রূপের সাথে তার অভিনয়ের দিব্য মিল। যেমন রূপ তেমন সাজ পোশাক। সত্যি সে লাস্যময়ী।
সন্দীপ্তা সেন
অত্যন্ত লাস্যময়ী ও অপুরপা । যে কোন পোশাকে তাকে দারুণ মানায়। সিরিয়াল জগতে টাপুর টুপুর থেকে দুর্গা, তুমি আসবে বলে সিরিয়ালে তার অসাধরন অভিনয় যেমন দর্শকের মনে এখনও স্মৃতিমধুর হয়ে আছে, তেমনই সেরা সুন্দরীর শিরোপার মুকুট বরাবরই তার মাথাতেই আছে। বিশেষ করে শাড়িতে সে ধরা দেয় মনোহরা রূপে।
দিতিপ্রিয়া রাায়
বয়সে ছোট হলে সুন্দরী তালিকায় একদমই পিছিয়ে নেই সে । যত দিন বয়েছে সে নিজেকে আকর্ষনীয় করে তুলেছে। নিজেকে জাহির করেছে রূপসী রূপে। তার স্টাইল স্টেটমেন্ট বাকিদের থেকে আলাদা তাই বাকিদের কে টেক্কা দিতে কিন্তু সে পিছিয়ে নেই।
সোলাঙ্কী রায়
তার মতো মিষ্টি মুখশ্রী হয়তো সিরিয়ালের কোন অভিনেত্রীর মধ্যেই নাই। তার মুখে মিশে আছে আলাদাই এক মাধুর্য্য । লক্ষী প্রতিমার মুখ বললে ভুল হবে না, তার এই রূপ যে কোন চরিত্রের সাথে মানানসয়ী, তার মুখে এক মায়া মাখানো মিষ্টতা আছে। বেশিরভাগ সিরিয়ালে তার চরিত্র একই ধাঁচেদিয়েছেন। তার মুখ সত্যি দেবীর মতো মায়াবী । মিষ্টি মুখের অধিকারিণী সে, তাই এতো সুন্দর মুখশ্রী যার সুন্দরীর তালিকা দিয়ে কখনই বাদ পড়ে না।
রুক্মা রায়
তার রূপের আগুন অত্যন্ত তীব্র। নজরকাড়া রূপের ও শারীরিক আবেদনে সকলকে মোহমুগ্ধ করে রেখেছে। পসেটিভ হোক কিংবা নেগেটিভ সব চরিত্রেই সে লাস্যময়ী। কোন চরিত্রে কোন আবেদনে প্রকাশ পেতে হয় তা তার বায় হাতের খেল।
নবনিতা দাস
মহাপিঠ তারাপীথে মা তারার ভূমিকায় তকে দারুণ মানিয়েছে, কি রূপের তেজ বোধ হয় সত্যি মা তারা ধরাধামে পা দিয়েছেন। তার মুখ সত্যি দেবীর মতো মায়াবী । মিষ্টি মুখের অধিকারিণী সে, তাই এতো সুন্দর মুখশ্রী যার সুন্দরীর তালিকা দিয়ে কখনই বাদ পড়ে না।
ঋতাভরী চক্রবর্তী
সিরিয়াল জগত থেকে তার ক্যারিয়ার শুরু হলেও তাকে এখন পাওয়া যায় বিভিন্ন আবেদনী চরিত্রে। সিরিয়াল থেক সিনেমা জগতে গিয়ে তার রূপের ধার আরও তীক্ষ্ণ হয়েছে। রূপের যাদু সকলকেই বশীভুত করেছে। তাকে বেশিরভাগ দেখা যায় সেক্সি, বোল্ড পোশাকে। কোনদিনই সে লকলজ্জাকে ভয় করে না কারন সে বরাবরই সাহসী। তাই সে তার সৌন্দর্য, শারীরিক আবেদনে সকল কে ঘায়েল করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
শ্রুতি দাস
কালোই জগতে আলো এটাই প্রমান করেছে ত্রীনয়নী সিরিয়ালের অভিনেত্রী। কালো হয়েও তার রূপ অসাধরন। টানা টানা চোখে তার যাদু আছে। সিরিয়ালে সে ধরা দেয় গ্রাম্য বাড়ির মেয়ে ও ধনী বাড়ির পুত্রবধু রূপে কিন্তু আসল রূপ ও স্বভাব কোনটাতেই সে তেমন নয়, অত্যন্ত স্মার্ট, স্টাইলিশ, সাহসী, স্পষ্টবাদী।