নিজস্ব সংবাদদাতা: সারা দেশ জুড়ে সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। আর সেই আবহেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। ভোট উৎসবে করোনার কোপ খুব বেশি ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আট-আটটি দফাতেই হচ্ছে নির্বাচন।
অতিমারী আবহে এই দীর্ঘ ভোট উৎসব ঠিক কতটা যুক্তিযুক্ত? ইতিমধ্যে উঠেছে সেই প্রশ্ন। আর গতকালই বহু সমালোচনা, বিতর্কের পর এ নিয়ে অবশেষে টনক নড়েছে নির্বাচন কমিশনের। করোনার মাঝে ভোট প্রচারে খানিক রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭টা থেকে এ রাজ্যে ভোটের জন্য আর কোনও বড় রোড-শো বা জনসভা করা যাবে না।
অবশ্য এই শেষ লগ্নে ভোটের দফা কমানোর কোনও সম্ভাবনা নেই, তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, কমিশনের এই তৎপরতায় দেরি হয়ে গেল না তো?
পরিসংখ্যান বলছে দেশে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৩২৭৩০ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ২২৬৩ জনের। উদ্বেগের পরিসংখ্যান জারি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। এ রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে মোট ১১৯৪৮ জনের শরীরে। মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জন করোনা রোগীর।
গত কয়েক সপ্তাহে ভোটকে কেন্দ্র করে এ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে জন জোয়ার দেখেছে মানুষ। যথেচ্ছ মিছিল জনসভায় করোনা বিধি মানার কোনও বালাই ছিল না। মুখে মাস্ক টুকুও পরতে দেখা যায়নি কোনও রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ভোট মিটলে বাংলায় করোনা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।
দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ৩ লাখের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাওয়ার পর কেন নির্বাচনী প্রচারে রাশ টানা হল? কেন বিপদ আন্দাজ করে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হল না? বলা বাহুল্য পদক্ষেপের পরেও এসব প্রশ্ন অস্বস্তিতে রাখবে কমিশনকে।