আমাদের প্রত্যেকের জীবনে স্মার্টফোন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ন বিষয়। যা ছাড়া আমদের জীবন প্রায় অচল। বলা যেতে পারে আমাদের শরীরের পাওয়ার বুষ্টার যেমন খাবার আর আমাদের মনের ও মস্তিষ্কের বুষ্টার মোবাইল ফোন।  বর্তমান জেনারেশন মোবাইলকে তার  জীবনের  একমাত্র সম্বল করে নিয়েছে।  ঘুম থেকে উঠে চোখ রগরাতে রগরাতে ফোন আবার ডিনার সেরে ঘুমানোর আগের সময় অবধি ফোনের দিকেই চোখ থাকে।  অফিসের এক্সেল সিট থেকে কনফারেন্স মিটিং হোক কিংবা অনলাইন ক্লাস বা টাকা রোজগারে জন্য লাইভ ভিডিও সবক্ষেত্রে ফোন এক অপরীহার্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এই সকল সুবিধার মধ্যেও সমস্যা উঁকি দেয়। ফোন যেহেতু আমরা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করি তাই খুব সহজেই  চার্জ পড়ে যায়।  এনড্রয়ড, আইফোন, উইন্ডোস সব অপারেটিং চালিত স্মার্টফোনের একই সমস্যা। অফিসের কোন প্রোমশানাল মিটিং বা কোন অফিসিয়াল প্রেসেন্টটেশন দেওয়ার সময় কিংবা ব্যঙ্ক ট্রান্সফারের সময় বা অলাইন ক্লাস চলাকালীন  যদি চার্জ চলে যায় তাহলে রক্ষা নেই, একুল ওকুল দুই কুলও গেল। তাই এই বিপদ যাতে কারোর জীবনে না ঘটে তাই জেনেনিন চার্জ  ধরে রাখার তার কিছু ট্রিকস।  

ফোনের দীর্ঘক্ষন চার্জ সংরক্ষিত রাখার ৫ সহজ উপায়

১) ডিসপ্লে লাইট কমিয়ে রাখুন

আমরা অনেকেই ভাবি ব্রাইটনেশ বাড়িয়ে রাখলে সবকিছু স্পষ্টভাবে দেখা যাবে, কিন্তু বিষয়টি ভুল, এতে চার্জ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। তাই ব্রাইটনেস সর্বক্ষন ‘লো মোডে’ রাখা উচিৎ। এতে দুটি সুবিধা আছে এক ফোনের চার্জ সাশ্রয় হবে আর দ্বিতীয় চোখের উপর যে চাপ সৃষ্টি হয় আলোর দরুন সেই চাপ কমবে। কারন ডার্ক লাইট চোখের সমস্যা সৃষ্টি করে।

২) পাওয়ার সেভার অ্যাপ্লিকেশন

কিছু অ্যাপ্লিকেশন আছে  যেগুলি প্রায় বিনা কারনে বা আমদের অজান্তেই চলতে থাকে। সেই অ্যাপ্লিকেশন গুলি বন্ধ করে রাখতে হয়। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি  বন্ধ করার দুইটি উপায় আছে, একটি হলো মোবাইলের বাই-ডিফল্ট অ্যাপ্লিকেশন ম্যানেজার থেকে সেগুলি ডিসঅ্যাবেল করা। অপরটি হল  পাওয়ার সেভার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা । এই অ্যাপ্লিকেশন মাধ্যমে অযাচিত চলমান অ্যাপস এর তালিকাটি দেখতে পাবেন এবং সেই অনুযায়ী বন্ধ রাখতে পারবেন।

৩) লাইভ লোকেশন সেকশন অফ রাখা

অনেক সময় আমরা পথ চলতি রাস্তায় কোন গন্তব্য স্থান হোক কিংবা কোন মেডিশিন সপ বা সপিং মল বা যে কোন জায়গা ও তার অবস্থান খুঁজে পাওয়ার জন্য, ক্যাব বুক করার জন্য ফোনের লোকেশন অন করে রাখি যার দ্বারা সেই গন্তব্যস্থলে পৌছাতে পারি। কিন্তু তার পরবর্তী মুহুর্তে সেটা অফ করতে অনেকেই যথারীতি ভুলে যায় অভ্যাসবশে। ফলে এই লোকেশন মুড অন রাখলে দ্রুত গতিতে চার্জও কমে যায়। তাই লোকেশন অন করার পর অবশ্যই অফ করার প্রয়োজনীয়তা আছে। যদি সেটিংসে গিয়ে অফ করতে আলিস্য লাগে তবে সর্টকাট অ্যাপ্লিকেশনের তালিকায় লোকেশন আইকনটা যুক্ত করে দিন তাতে ভুলও কম হবে আর চার্জ ও কম যাবে।

৪)ফোনকে নিয়মিত সময়ে আপডেট রাখা

যে কোন ফোন আপডেট করা খুবই জরুরি, এতে ফোনে নতুন নতুন অ্যাপ্লিকেশনের আপডেট ঘটে, চার্জও কম যায়, ফোনের দ্রুততাও বৃদ্ধি পায়।  অর্থাৎ ১ ডিলে ৩ পাখি মারাও হল। তাই আপডেটের বিষয়টি নজরে রাখবেন আর আপডেটের নটিফিকেশন এলে অপশনটি ক্লিক করে দেবেন। ফোন যতবার আপডেট চাইবে পারলে ততবার করুন।

৫) ওয়াই-ফাই ডাটা ব্যবহার করুন

আমরা বেশিরভাগ সময় ফোনের ডাটা ব্যবহার করি ইন্টেনেট কানেকশনের জন্য। এতে ফোনের চার্জের দ্রুত ঘাটতি ঘটে। তাই এর বিকল্প হিসেবে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করুন। সমীক্ষায় দেখা গেছে,  অনান্য প্রযুক্তির ইন্টারনেট  ব্যবহারের তুলনায় ওয়াই-ফাই ব্যবহারের ফলে  কম ব্যাটারি খরচ হয় ফোনও দীর্ঘক্ষন ধরে চলে।

অনেকেই আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহল নন তাই তাঁদের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক বিষয়গুলি জানা সম্ভব নয়। তাই তাঁদের ভাবনার বিষয় ফোন চার্জ ফুল হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কেন দ্রুত গতিতে চার্জের পারদ পড়ে   যায়। তাই তাঁদের জন্য এই ট্রিকসগুলি অত্যন্য উপকারী। এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলে ফোনের চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া নিয়ে আর কোন অভিযোগও থাকবে না, গুরুত্বপূর্ন কাজের সময় চার্জ চলে গেল বলে  আর কপাল চাপড়াতে হবে না।

1 COMMENT