নিজস্ব সংবাদদাতা : মাঝ রাতে চুরি হয় বলেই শোনা যায় বেশি। তবে সাতসকালে চুরি হয়েছে এমনটা শুনেছেন কখন ? তাহলে জানিয়ে রাখি সম্প্রতি দমদমের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ক্যান্টনমেন্ট- এর অন্তর্গত কদমতলার কমলাপুর এলাকায় একেবারে দিনের আলোয় প্রাচীর ভেঙে চুরি করা হয়েছে রেলের বেশ কিছু পার্টস।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, চুরি হয়েছে কমলাপুর এলাকার জেশপ কারখানায়।দমদম ক্যান্টনমেন্ট এর বেশ ভেতরে দিকে কমলাপুর স্থানটি। জানা গেছে, বেশ অনেক টাকার মালপত্র সেই কারখানায় মজুত করে রাখা ছিল। রোজকার মত এদিন ও সবাই যে যার কাজে ব্যাস্ত ছিল। এমনিতেই কারখানাটির আশেপাশে জনবসতি খানিকটা কম। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময় বেশ অনেকদিন কারখানা বন্ধই ছিল। তারপর লকডাউন ওঠার পর ও কারখানা আর আগের মত সেভাবে খোলা হতনা অর্থের অভাবে। তারই সুযোগ নিয়েছিল চোরেরা।চোরেরা জিনিসপত্র চুরি করে সেগুলো তাদের সাথে আনা টোটো তে তোলার সময় ঘটনাটি স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কিছু লোক লক্ষ্য করে। তারা তৎক্ষণাৎ ছুটে আসে এবং তাদের ছুটে আসতে দেখে চোরেরা জিনিস পত্র সেখানে ফেলে রেখেই ভয়ে পালায়।
চুরির খবর জানাজানি হতেই,
স্থানীয় লোকেরা পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে, সেখানকার কাউন্সিলর সত্যব্রত মণ্ডল উপস্তিত হয়েছেন।তিনি এবং পলিশের কয়েকজন অফিসার এই ঘটনার তদন্ত করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা যে টোটো করে চোররা চোরাই মাল নিয়ে যাচ্ছিল সেই টোটো কে আটক করেছে। ইতিমধ্যে তিন জন চোর ধরা পড়েছে এবং বাকি আর একজন পালিয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, এক বছর আগেও এই একই ভাবে কিছু চোর এই কারখানায় চুরি করতে এসে ধরা পড়ে যায়। তবে সেটা গভীর রাতে হয়েছিল । সেবার স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটক করছিল , এমনকি তাদের সাথে আনা টোটো ও জ্বালিয়ে দিয়েছিল। আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার ফলে স্থানীয় লোকেরা আর ও সচেতন হয়েছে। বর্তমানে আপাতত চোরদের বন্ধি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু এইধরনের ঘটনা বারংবার ঘটায় এলাকার সুরক্ষার ওপর প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার সুরক্ষার জন্য স্থানীয় পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছে ।