গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় প্রচণ্ড তাপ থেকে স্বস্তি পাচ্ছেন না মানুষ। বিশেষ করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থা আরও খারাপ করেছে। দিনের তাপমাত্রা ৪৩ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠছে। দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, ইউপি, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান থেকে শুরু করে বাংলা পর্যন্ত প্রচণ্ড গরম। তবে এরই মধ্যে স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর কারণে তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে তার আগে তিনদিন উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের সব রাজ্যকেই গরমের মুখে পড়তে হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর স্থানীয় প্রশাসনকে জনগণকে ত্রাণ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। গুরুগ্রামের কথা বললে, বৃহস্পতিবার এখানে তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া হরিয়ানার হিসারে তাপমাত্রা ৪৬ ছাড়িয়েছে। এছাড়াও, দিল্লির সফদরজংয়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে 43.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা তেমন বেশি থাকে না। দিল্লির আবহাওয়া কেন্দ্রের বিজ্ঞানী চরণ সিং বলেন, ‘উত্তর ভারতের সমভূমিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ধূলিঝড়ও হতে পারে, যার কারণে তাপমাত্রা আর বাড়বে না। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। এর পরে এটি স্থিতিশীল হবে।
অনুমান অনুযায়ী, পশ্চিমী উত্তেজনার প্রভাব উত্তর-পশ্চিম ভারতে দেখা যেতে শুরু করেছে। আগামী দুই দিনে গিলগিট-বালতিস্তান, মুজাফফরাবাদ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানে ধূলিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টিও হতে পারে, যার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। ৩ থেকে ৪ মে পর্যন্ত অনুরূপ আবহাওয়া হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মে মাসের শুরুতেই স্বস্তি শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মার্চ ও এপ্রিল মাসে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে সামান্য বৃষ্টি হলেও এবার তা না হওয়ায় গরম বেড়েছে দ্রুত। ১ মার্চ থেকে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এখনই বলা খুব তাড়াতাড়ি, তবে আবহাওয়া এভাবে চলতে থাকলে গত কয়েক বছরের তাপের রেকর্ড এবার ভেঙে যেতে পারে। এই বছর, হোলির পর থেকে, তাপ দ্রুত বেড়েছে এবং তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে অনেক আগেই, যার কারণে অনেক রাজ্যে স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।