হানাবাড়ি কাকে বলে কেউ জানো?
বলা হয়, পৃথিবীতে মানুষ যতদিন ধরে রয়েছে, ভূতও নাকি একইরকম ভাবে ঠিক সেই ইতিহাস বহন করেই আমাদের আশেপাশে অদেখা অতিলৌকিক ভাবে রয়েছে। ভূত আছে নাকি নেই এই নিয়ে বহু তর্ক বিতর্ক বহু বহু বহু সময় ধরে তাবড় মানুষজনের মধ্যে হয়ে চলেছে আজও। কেউ কেউ মেনে নিয়েছেন যে মৃত্যুর পরেও মানুষের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, আবার কেউ বলেছেন ভূত-টুত ওসব একদম গাঁজাখুরি ব্যাপার।
শোনা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পর্যন্ত বিশ্বাস করতেন ভুতের অস্তিত্বে। তাঁর উদ্যোগে প্ল্যানচেটের নানান কাহিনী আজও মানুষের মুখে ফেরে। আর শুধু রবীন্দ্রনাথই বা কেন, আধিভৌতিক অস্তিত্বে আলেকজান্ডার থেকে অ্যাডলফ হিটলার অনেকেই বিশ্বাস করতেন বলে জানা গিয়েছে। আর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে রয়েছে এমন অনেক জায়গাও যেখানে ভুতের অস্তিত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে চূড়ান্ত উপদ্রব। আর এইসব হানাবাড়িতে বহু বাঘা বাঘা বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ নানান পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েও এইসমস্ত উপদ্রবের কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
ভানগড় দুর্গ
ভারতবর্ষের সবচাইতে কুখ্যাত হানাবাড়ির কথা বললেই সবার মনে পড়ে রাজস্থানের কুখ্যাত ভানগড়ের দুর্গের কথা। এই দুর্গের রাত কাটাতে গিয়ে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন অদ্ভুতভাবে। তাছাড়া ভারত সরকারের তরফ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে যে সূর্যাস্তের পর কিংবা সূর্যোদয়ের আগে এই দুর্গের ভেতরে কিংবা তার আশেপাশে যাওয়া বারণ।
Ancient Ram inn
ইংল্যান্ডের এই কুখ্যাত সরাইখানা তৈরি হয়েছে প্রায় হাজার বছরেরও আগে। জানা যায় এইখানে নাকি পুরোহিতরা বহু ক্রীতদাসের উপর অত্যাচার করেছেন দিনের পর দিন। এই সম্পত্তির মালিকানাও বদল হয় বারবার আজ পর্যন্ত। বহু ভৌতিক উপদ্রবের কথা জানা গেছে এই সরাইখানায়।
Castle of good hope
সাউথ আফ্রিকার সবচেয়ে পুরনো এই দুর্গ বানানো হয় সপ্তদশ শতাব্দীতে। ১৯১৫ সালে এখানে প্রথম ভৌতিক কর্মকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। তারপর থেকে বারবার এখানে মানুষ অতিপ্রাকৃতের উপস্থিতি অনুভব করেছেন। বর্তমানে এটি একটি বিখ্যাত টুরিস্ট স্পট হবার সঙ্গে সঙ্গে বিখ্যাত হানাবাড়িও বটে।
জাজিরাত আল হামরা
একসময়ের বিখ্যাত মুক্তো ব্যবসায়ীদের ঠিকানা আরবের এই গ্রাম আজ ভৌতিক উপদ্রবের জন্য একেবারেই পরিত্যক্ত। এখানে একটি বিশেষ পুরনো বাড়িতে প্রথম ভূতের অস্তিত্ব রয়েছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু ক্রমশ সমস্ত গ্রামের মানুষই এই কারণে ভীষণ ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন।বিশেষত জন্তু জানোয়ারের প্রেতাত্মা এই অঞ্চলে ভীষণভাবে দেখা গিয়েছে বারবার।
ল্যাংহাম হোটেল
লন্ডনের এই পাঁচতাঁরা বিলাসবহুল হোটেলের করিডরে একাধিক মানুষ অশরীরীর দেখা পেয়েছেন বলে বিভিন্ন সময়ে শোরগোল পড়েছিল চারদিকে। প্রেততত্ত্ববিদদের দাবি অন্তত পাঁচটি অতৃপ্ত আত্মা এই হোটেলের মধ্যে সবার মাঝে ঘোরাফেরা করে চলেছে। এই হোটেলের ৩৩৩ নম্বর ঘরটি বিশেষ করে কখনই খোলা হয় না।
চাওনেই চার্চ
বেজিংএর চাওনেই চার্চ পৃথিবীর সবচাইতে বিখ্যাত হানাবাড়ির মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। এই বাড়ি তৈরির সময়েই তিনজন মিস্ত্রির রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে মানুষের মধ্যে গুঞ্জন ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এখানে অশরীরীর অস্তিত্ব বারবার টের পাওয়া গিয়েছে।
Tower of London
লন্ডন টাওয়ারে একসময় বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। কয়েক শতাব্দী ধরে অভিজাত থেকে সাধারণ মানুষ , অপরাধী-নিরপরাধ এমন বহু বিখ্যাত মানুষকেই আটকে রাখা হত টাওয়ারে। বহু কুখ্যাত অবিচারের মৃত্যু ঘটেছে এই বিল্ডিঙে। আজ এখানে ভৌতিক উপস্থিতি তাই অবাক হবার মতন নয়। মানুষ এই বিখ্যাত হানাবাড়িকে দেখতে আসেন।
পোর্ট আর্থার
অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট আর্থার নামের একটি গোটা শহরই ভৌতিক ক্রিয়াকলাপের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। বিশেষ করে এখানে বন্দরের কাছে অবস্থিত কয়েকটি বাড়ি চিরকালের জন্য তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অশরীরীর উপদ্রবের জন্যই।
Bran Castle
এই দুর্গ বিশেষভাবে বিখ্যাত ড্রাকুলার সঙ্গে এর নাম জড়িয়ে যাবার ফলেই। রোমানিয়ার একটি বিশেষ ল্যান্ডমার্ক হিসেবে পরিচিত এই প্রাসাদ পৃথিবীর সবচাইতে ভৌতিক স্থানগুলির একটি।
Chernobyl
পৃথিবীর সবচাইতে বিখ্যাত যেসব পরমাণু বিস্ফোরণ ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে চেরনোবিলের বিস্ফোরণ তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। এই গোটা অঞ্চল যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তার পর এই স্থান পৃথিবীর মধ্যে কুখ্যাত ভৌতিক উপদ্রবের স্থান হিসেবেও আজ পরিচিতি পেয়েছে।
[…] https://banglakhabor.in/2020/11/18/%e0%a6%aa%e0%a7%83%e0%a6%a5%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%b0-%… […]