নিজস্ব সংবাদদাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সিবিআইয়ের ক্রমবর্ধমান তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। কিছুদিন আগেই গোরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের আইপিএস অফিসারদের উদ্দেশ্যে শমন জারি করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার তাঁদের আতশকাচের নীচে জনপ্রিয় জাদুকর পি সি সরকার (জুনিয়র)।
জাদুকর পি সি সরকারের বাড়িতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালিয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা, জানা গেছে সূত্রের খবরে। চিটফান্ড কাণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রেই এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। বস্তুত, চিটফান্ড কাণ্ডে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের তদন্তে উঠে এসেছে টাওয়ার গোষ্ঠীর নাম। সূত্রের খবর, ওই গোষ্ঠীরই নাকি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন জাদুকর পি সি সরকার।
শুক্রবার দুপুরে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আচমকাই পি সি সরকারের মুকুন্দপুরের পূর্বালোক এলাকার বাসভবনে হানা দেন বেশ কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক। তাঁরা জাদুকরকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন দীর্ঘক্ষণ। বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে বাড়িতেই চলে তল্লাশি। জানা গেছে, ওই সময় বাড়িতে পি সি সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তাঁর মেয়ে মৌবনী সরকার।সাংবাদিকদের সামনে একেবারেই মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা। টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত আরো নানা জায়গাতেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, পি সি সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের মোট ১০ জন গোয়েন্দা অফিসার। অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন সময় টাওয়ার গোষ্ঠীর কাছ থেকে পি সি সরকার বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন। কেন এই টাকা নেওয়া হয়েছিল, টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে বিশেষ কোনো চুক্তি হয়েছিল কিনা মূলত তা জানতেই বাড়ি যায় সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, টাওয়ার গোষ্ঠীর তরফ থেকে একটি রেস্টুরেন্ট খোলার কথা বলা হয়েছিল যেখানে জাদু শো দেখাবেন পি সি সরকার। কিন্তু বাস্তবে কোনো রেস্টুরেন্টই খোলা হয় নি। তবে কেন টাকা নিয়েছিলেন পি সি সরকার? রেস্টুরেন্টের আড়ালে অন্য কোনো চুক্তি আছে কি? তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। চিটফান্ড কাণ্ডে পি সি সরকারের নাম জড়ানোর এই ঘটনা ভোটের আগে বাংলার রাজনৈতিক মহলে কতটা প্রভাব ফেলে সেটাই এখন দেখার।