নিজস্ব সংবাদদাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন রাজনৈতিক আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি,ঠিক তখনই মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী । ভোটের আগে উত্তাপের আবহে এই ঘটনা যেন আগুনে ঘি ঢেলেছে। গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করেনি কোনো রাজনৈতিক দলই।ফলে দলীয় নেত্রীর কীর্তিতে রীতিমতো অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এই অস্বস্তি বাড়িয়েই এবার পামেলা কাণ্ডের তদন্তভার গ্রহণ করল রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ।
পামেলা গোস্বামী হুগলির বিজেপি যুব নেত্রী। তাঁর সঙ্গে মাদকযোগের তদন্ত করবে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবর মারফত। পামেলা বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। গত শুক্রবার কলকাতার নিউ আলিপুর থেকে ১০০ গ্রাম কোকেনসহ ধরা পড়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে প্রবীর কুমার দে নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে পড়ে যায় হইচই।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কোথা থেকে পামেলা গোস্বামীর কাছে মাদক সরবারহ হত, কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত, ইত্যাদি বিষয়ে একাধিক খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। তাকে অবলম্বন করেই তদন্তে নামছে রাজ্যের এনসিবি ডিপার্টমেন্ট। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার অনুজ শর্মা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হয়েছেন।
বস্তুত, ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগকেই অন্যতম মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বিজেপি। কিন্তু তাঁদেরই দলের যুব নেতৃত্বে থাকা পামেলা গোস্বামীর কাছ থেকে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হওয়ায় দলের ভাবমূর্তিতে যে কালি লেগেছে তা বলাই বাহুল্য। অবশ্য সংকটকালে দলীয় নেতৃত্বকে পাশেই পেয়েছেন পামেলা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পামেলার গ্রেফতারিতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন। পামেলা নিজেও বারবার অভিযোগ করেছেন তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এদিকে পুলিশের অনুমান, পামেলার সঙ্গে মাদককাণ্ডে ভিন রাজ্যের চক্রের যোগ রয়েছে।