নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝেই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।প্রাক-নির্বাচনী আবহে যাতে নাগরিকরা সুরক্ষিত বোধ করেন সেই উদ্দেশ্যে নির্বাচনের আগেই জেলায় জেলায় টহল দেবে বাহিনী। কিন্তু এরপরেও ভোটের আয়োজন নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে ভোট সংক্রান্ত আরো এক গুচ্ছ দাবিদাওয়া পেশ করেছে বিজেপি।
রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের যেন ভোটের কাজে নিযুক্ত না করা হয়, নির্বাচন কমিশনের কাছে এদিন এমনটাই দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই সঙ্গে স্পর্শকাতর এলাকা গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জিও জানানো হয়েছে। তা না করে শুধুমাত্র রাজ্যের হাইওয়ে গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চে কোনো কাজের কাজ হবে না বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির। সাধারণত ভোট চলাকালীন বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীদের ভোটের কাজ পর্যালোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। নিযুক্ত থাকেন সিভিক ভলান্টিয়াররাও। কিন্তু এক্ষেত্রে তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
অবশ্য শুধু এই কারণেই নয়, বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে অস্থায়ী কর্মচারী হওয়ায় এই সমস্ত ভোট কর্মীরা যদি কোনো ভুল করেন তবে তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করাও সম্ভব হবে না। তাই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ভিন রাজ্য থেকে নির্বাচনী আধিকারিক আনার পরামর্শও দিয়েছে বিজেপি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এদিন পদ্ম শিবিরের তরফ থেকে একটি চিঠিও লেখা হয়েছে। বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত ও শিশির বাজোরিয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, “সিভিক ভলান্টিয়ার বা রাজ্য সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। এরা স্থায়ী কর্মী নয়, তাই কর্তব্যে গাফিলতি করলে এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।” রাজ্য সরকার যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করতে না পারে সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে কমিশনকে।
এখানেই শেষ নয়, শিশির বাজোরিয়ার আরো অভিযোগ, “আমাদের কাছে প্রমাণ আছে বিভিন্ন জেলায় সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে দেখিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছে রাজ্য। স্থায়ী কর্মচারী না হওয়ায় এঁরা জবাবদিহি করতে বাধ্য নন।”