মানি লন্ডারিং মামলার তদন্তকারী ইডি এখন কংগ্রেস-সমর্থিত সংবাদপত্র ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিসে হানা দিয়েছে। সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর এই নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দলগুলো আজ ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিসসহ 10টি বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। 21 এবং 26 জুলাই সোনিয়া গান্ধীকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তার আগে রাহুল গান্ধীকেও ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি টানা কয়েকদিন জেরা করেছিল। এবার নতুন এই পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি।
দিল্লির অনেক জায়গায় অভিযান ছাড়াও কলকাতা এবং অন্যান্য অনেক শহরেও অভিযান চালানো হচ্ছে। সূত্র বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি মনে করেছিল এই মামলায় অভিযান চালানোর প্রয়োজন ছিল। ইডি বলছে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী সহ অনেক নেতা এই গোটা ঘটনায় প্রয়াত নেতা মতিলাল ভোরার নাম করেছিলেন। এর বাইরেও অনেক লেনদেনের কথা ছিল, যার তথ্য সংগ্রহের জন্য নথিপত্র যাচাই-বাছাই করতে হবে। এ ছাড়া ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিসগুলো কেন ব্যবহার করা হয়, তাও খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নিজেকে একা ভাববেন না, কংগ্রেস আপনার কণ্ঠস্বর, এবং আপনি কংগ্রেসের শক্তি। স্বৈরশাসকের প্রতিটি ফরমান, জনগণের কণ্ঠস্বরকে দমন করার প্রতিটি অপচেষ্টার সঙ্গে লড়াই করতে হবে। আপনার জন্য আমি এবং কংগ্রেস দল লড়াই করে আসছি, আরও লড়ব। আপনি ভালো করেই জানেন আজ দেশে কী কী বিষয়ে আলোচনা করা উচিত কারণ সরকারের প্রতিটি ভুল নীতি আপনার জীবনকে প্রভাবিত করছে”।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই অধিবেশনে আমরা সরকারকে জনগণের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু আপনারা সবাই দেখেছেন সরকার কীভাবে বিরোধী দলের লোকদের সাসপেন্ড করেছে। আমাদের প্রতিবাদের জন্য আমরা গ্রেপ্তার হলাম, হাউজ মুলতবি করা হল এবং গতকাল যখন আলোচনা হল, সরকার স্পষ্টভাবে বলেছে যে ‘মুদ্রাস্ফীতির মতো সমস্যা নেই’। দেশ বেকারত্বের মহামারীর সাথে লড়াই করছে, কোটি কোটি পরিবার স্থিতিশীল আয়ের কোনও উপায় নেই। কিন্তু সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে শুধু ‘অহংকারী রাজা’র ভাবমূর্তি পালিশ করতে”।