প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ দেশের সমস্ত প্রধানমন্ত্রীদের জীবন ও অবদানের উপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রীর জাদুঘরের উদ্বোধন করেছেন। মোদি সকাল ১১টার দিকে তিন মূর্তি ভবনের নেহেরু মেমোরিয়াল অ্যান্ড মিউজিয়ামে পৌঁছান যেখানে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি তাঁকে স্বাগত জানান। পরে তিনি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে জাদুঘর উদ্বোধন করেন। এখানে তিনি প্রথম টিকিটও কিনেছিলেন।
সংবিধানের স্থপতি বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এই লঞ্চ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরও।
আজাদির অমৃত মহোৎসব উদযাপনের সময় শুরু হওয়া এই জাদুঘরটি স্বাধীনতার পরে সমস্ত প্রধানমন্ত্রীর জীবন ও অবদানের মাধ্যমে লেখা ভারতের গল্প বর্ণনা করে। আমরা আপনাকে বলি যে আগে এটি নেহেরু মেমোরিয়াল নামে পরিচিত ছিল।
এই জাদুঘরে দুটি ব্লক রয়েছে। ব্লক 1 পূর্ববর্তী কিশোর মূর্তি ভবন এবং ব্লক 2 নতুন ভবন। দুটি ব্লকের মোট আয়তন ১৫ হাজার ৬০০ বর্গমিটারের বেশি। জাদুঘর ভবনের নকশা উদীয়মান ভারতের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত। ডিজাইনে টেকসইতা এবং শক্তি সংরক্ষণ সম্পর্কিত প্রযুক্তিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্মাণকালে কোনো গাছ কাটা বা রোপন করা হয়নি।
জাদুঘরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে প্রসার ভারতী, দূরদর্শন, চলচ্চিত্র বিভাগ, সংসদ টিভি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ভারতীয় ও বিদেশী মিডিয়া সংস্থা, বিদেশী সংবাদ সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ/সংগ্রাহকদের মাধ্যমে। আর্কাইভের যথাযথ ব্যবহার, কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, উপহার এবং স্মারক (সম্মান, সম্মাননা, পদক দেওয়া, স্মারক ডাকটিকিট, মুদ্রা ইত্যাদি) এবং প্রধানমন্ত্রীদের জীবনের বিভিন্ন দিক এক হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে।
হলোগ্রাম, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, মাল্টি-টাচ, মাল্টিমিডিয়া, ইন্টারেক্টিভ কিয়স্ক, কম্পিউটারাইজড কাইনেটিক ভাস্কর্য, স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন, ইন্টারেক্টিভ স্ক্রিন, এক্সপেরিয়েনশিয়াল ইন্সটলেশন ইত্যাদি প্রদর্শনী সামগ্রীকে অত্যন্ত ইন্টারেক্টিভ এবং আকর্ষক চেহারা প্রদান করে। জনগণ তাদের পছন্দের সাবেক বা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভার্চুয়াল প্রযুক্তিতে ক্লিক করার সুবিধা পাবেন।
এই জাদুঘরটি স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সংবিধান প্রণয়নের গল্পও বর্ণনা করে। এই জাদুঘরটি আরও বলে যে কীভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দেশকে একটি নতুন পথ দিয়েছিলেন এবং দেশের সর্বাত্মক অগ্রগতি নিশ্চিত করেছিলেন।