উত্তরপ্রদেশে ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত প্রখ্যাত রেল জংশন মুঘলসরাইয়ের নাম বদলের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল নাম বদলের কর্মকাণ্ড। এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশনটির নাম এখন দিনদয়াল উপাধ্যায় রেল জংশন। কট্টরপন্থি হিন্দু সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতার নামেই এখন এর পরিচিতি। এরপর এলাহাবাদ শহরকে প্রয়াগরাজ নামকরণ করা হয়। আজমগড়কে আরিয়ামগড়, ফৈজাবাদকে সাকেত, আলীগড়কে হরিগড় এবং মুজাফফরনগর জেলাকে লক্ষ্মীনগরে নামকরণের দাবি তুলেছে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলো। শুধু তাই নয় ফয়জাবাদ জেলার নামকরণ করা হয় অযোধ্যা।
নাম বদলের রাজনীতিই এখন গোটা দেশে অন্যতম মুখ্য কর্মসূচী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি জমানায় এভাবেই দেশের একের পর এক স্টেশন, রাস্তা, অঞ্চলের নাম বদলে গিয়েছে। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, আগামী ২৩শে জানুয়ারি কলকাতায় এসে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নাম বদল করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসলে এভাবেই এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান তিনি। একদিকে যেমন বাঙালি আবেগের সুযোগ নিয়ে নেতাজির নামে নামকরণ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের, যাতে বাংলার মানুষ প্রতিবাদ না করতে পারে। অন্যদিকে, চালু থাকবে বিজেপির নামবদলের রাজনীতিও।
প্রসঙ্গত, বাংলায় বিজেপির নামবদল এবং গেরুকরণের রাজনীতির সূত্রপাত গত বছর। সেই সময় বাংলায় এসে কলকাতা বন্দরের নাম বদল করে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির নামে রাখেন তিনি। আর এখন শোনা যাচ্ছে, বাংলার একাধিক অতি পরিচিত এলাকার নাম বদলে দিতে চায় গেরুয়া শিবির। নাম বদলের এই তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। যেমন, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুককে ‘তাম্রলিপ্ত’, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরকে ‘ঈশ্বরপুর’, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরকে ‘ব্রহ্মপুর’ নামেই সাংগঠনিক কাজে মান্যতা দিচ্ছে তারা। তালিকা এখানেই শেষ নয়। রাজ্যের আরও বেশ কিছু এলাকার নাম পরিবর্তনের দাবি রয়েছে এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির।