নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গতকাল দেশ জুড়ে বিবিধ কর্মসূচীতে মেতে উঠেছিল সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল সকলেই। মহান দেশ নায়কের জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল বাংলার রাজধানীকে। কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে গতকাল যখন নেতাজি স্মরণে সামিল হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তখনই দেশের আরেক প্রান্তে নেতাজির মৃত্যু রহস্য নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন জনৈক বিজেপি নেতা।

নেতাজি
Scroll.in

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নিখোঁজ তত্ত্বকে খারিজ করে দিয়ে এদিন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ দাবি করেছেন নেতাজিকে খুন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়,এ বিষয়ে তৎকালীন জাতীয় কংগ্রেসের নেতাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। বলা বাহুল্য, তাঁর এহেন মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তীব্র সমালোচনা ধেয়ে এসেছে কংগ্রেসের তরফ থেকেও।

19 12 35 2Q
pgurus

ঠিক কী বলেছেন সাক্ষী মহারাজ? বস্তুত, এদিন উত্তরপ্রদেশে নিজের লোকসভা এলাকা থেকেই নেতাজি জয়ন্তীর এক অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলেন উন্নাওয়ের বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। সেখানে বক্তব্য রাখতে মঞ্চে উঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি অভিযোগ করছি, কংগ্রেসই খুন করেছে সুভাষচন্দ্র বসুকে। জওহরলাল নেহেরু তো দূর, মহাত্মা গান্ধীও জনপ্রিয়তায় নেতাজির ধারে কাছে ছিলেন না।” ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়েই কংগ্রেস নেতাজিকে হত্যা করে এবং তাঁর মৃত্যুকে ভুয়ো রহস্যের কাঠামো দেয়, দাবি সাক্ষী মহারাজের।

নিজের দাবির সপক্ষে অবশ্য কোনো তথ্য প্রমাণ তুলে ধরেন নি এই বিজেপি নেতা। শুধু মাত্র সন্দেহের বশেই প্রকাশ্য জনসভায় এমন বিস্ফোরক দাবি তিনি কীভাবে তুললেন প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। এদিন সভা থেকে সাক্ষী মহারাজ প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহেরুর নিস্ক্রিয়তা নিয়েও। তাঁর কথায়, “সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যু কেন রহস্য? জওহরলাল নেহেরু কেন এ ব্যাপারে কোনো তদন্ত করেন নি?” প্রকৃত সত্য উদঘাটনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, সরকারি তত্ত্ব অনুযায়ী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৪৫ সালে জাপানের এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে ছিলেন। কিন্তু এই তথ্য নিয়ে রয়েছে একাধিক সংশয়। দীর্ঘদিন ধরেই এ বিষয়ে চলেছে একাধিক তদন্ত। কিন্তু আজও এই মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।