নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিরোধীদের বারবার অভিযোগ করেন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে একজন মহিলা। অথচ বাংলাতেই নারী সুরক্ষা তলানিতে। তাঁদের বক্তব্য, অপরাধীরা সাজা পাচ্ছে না, উল্টে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রিপোর্ট কী বলছে? সরকারের দাবি, প্রতিবছর ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের হার আগের তুলনায় অনেক কমেছে বাংলায়। সেইদিক থেকে দেশের ২৩টি রাজ্যের তুলনায় মহিলারা সবথেকে বেশি নিরাপদ বাংলাতেই। এমনকী, ধর্ষণের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি, নারী পাচারের ক্ষেত্রেও ছবিটা একই। গ্রাফ নিম্নমুখী।
রাজ্যের জনগণের সামনে তৃণমূল সরকারকে ছোট করতে বারংবার বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যে অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধীরা। এরমধ্যেই বিধানসভা ভোট দোরগোড়ায় আসায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গত পরশু রাজ্যে এসেছে কমিশনের ফুলবেঞ্চ। ঠিক এই সময়েই মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দিল নবান্ন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে সরকার। তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা বাংলায় অনেকটাই কমেছে। কলকাতাকে নারীদের জন্য সবথেকে সুরক্ষিত শহর বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ ঠিক কতটা কমেছে? রিপোর্টে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নারী পাচারের মতো বিভিন্ন অপরাধের কথা উল্লেখ করে তথ্য পেশ করেছে রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছিল ৩০ হাজার ৯৯৯টি। মাত্র এক বছরে অর্থাৎ ২০১৮ সালে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৩৯৪। ২০১৯-র এসে সেই সংখ্যা কমেছে আরও। সরকারের দাবি, ২০১৯ সালে ভারতের ৮টি রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের হার ছিল বাংলার থেকে বেশি।
এদিন বাংলার সঙ্গে হরিয়ানার নারী সুরক্ষা রিপোর্টও তলব করেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। কিন্তু তাদের রিপোর্ট বেশ উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হয়েছে। বিজেপি শাসিত হরিয়ানার রিপোর্ট অনুযায়ীধর্ষণের অপরাধে সে রাজ্যের গড় ১০.০৮ %। সেখানে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী শাসিত বাংলায় ওই গড় মাত্র ২.২%।