নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্প্রতি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন নারায়ণ দেবনাথ। কিন্তু পুরস্কারের সুখবরটা ভালো করে উপভোগ করে উঠতে পারেন নি বর্ষীয়ান এই কার্টুনিস্ট। সম্মান লাভের কিছুদিন পরেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
গত শুক্রবার রাতে শারীরিক কিছু অসুস্থতার কারণে কলকাতার বেলভিউত ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় ৯৬ বছর বয়সী প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথকে। কিন্তু শরীর অসুস্থ হলেও মনটা তাঁর এখনও আগের মতোই তাজা রয়ে গেছে। আর তাই হাসপাতালে রাজ্যপালকে দেখে ফের কলম তুলে নিলেন তিনি। আঁকলেন সকলের প্রিয় বাঁটুল দি গ্রেটকে। হাত কাঁপলেও বাঁটুলের মুখের হাসি কিন্তু নড়ে যায় নি একফোঁটাও।
শুক্রবার সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সস্ত্রীক নার্সিংহোমে দেখতে যান পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত নারায়ণ দেবনাথকে। আর রাজ্যপালকে দেখে উচ্ছ্বসিত কার্টুনিস্ট কাঁপা কাঁপা হাতে ধরেন কাগজ-পেনসিল। বাঁটুলের ছবি এঁকে রাজ্যপালকে উপহার দেন তিনি। বর্ষীয়ান কার্টুনিস্টের উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্যপালও।
এদিন নারায়ণ দেবনাথের পুত্রবধূ অর্চনা দেবনাথ জানিয়েছেন, ইউরিন ইনফেকশনের জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেলভিউতে চারজন চিকিৎসকের একটি টিম তৈরি করা হয়েছে তাঁর চিকিৎসার জন্য।
উল্লেখ্য, নারায়ণ দেবনাথের লেখা কমিক পড়েনি এমন বাঙালি খুব কম আছে। আগে এইসব কমিকের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত আপামোর বাঙালি। তবে এখন বই হাতে নিয়ে পড়ার ট্রাডিশনটা চলেই গেছে প্রায়। ই-বুক এসে যেতে এখন সবটাই ঐ মুঠোফোনে বন্দি। নারায়ণ দেবনাথের লেখা নন্টে-ফন্টে, হাঁদা-ভোঁদা, বাঁটুল দি গ্রেট পড়েনি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কঠিন। এখনও এই সমস্ত কমিকের জনপ্রিয়তা রয়েছে একইরকম। এইসব কমিক গুলো মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।