জাপানে গিয়ে সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সামনে নিজের ঢাক পেটালেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘ভারত আজ নিজের সভ্যতা ও হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ও বিশ্বাসকে ফের অর্জন করেছে। এখন ভারতবাসী বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে নিজের মেরুদণ্ড সোজা করে, অন্যের চোখে চোখ রেখে গর্বের সঙ্গে নিজের দেশের কথা বলছে। এটাই পরিবর্তন।‘


কোয়াদ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে জাপানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে এক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন। একইসঙ্গে বারবার রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকান্দের কথাও উঠে এসেছে তাঁর বক্তব্যে। বিবেকানন্দ যেমন বলেছিলেন, প্রত্যেক ভারতীয় যুবকের একবার অন্তত জাপান আসা উচিৎ।

পাল্টা হিসাবে মোদী বলেন জাপানের প্রত্যেক যুবার অন্তত একবার ভারতে যাওয়া উচিৎ। এদিন মোদীর বক্তব্যের মাঝে বারবার মোদী মোদী শ্লোগান উঠতে থাকে সেখানে উপস্থিত জনতার মধ্যে। স্বামিজী ছাড়াও বক্তৃতার মাঝে কবিগুরুর প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদী


এদিন বক্তৃতা দেওয়ার সময় মোদী জাপান দেশটিকে পদ্ম ফুলের সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁর বর্ণনায় জাপান একটি পদ্মফুলের মতো। যার শিকড় দেশের মাটির সঙ্গে গভীর ভাবে প্রোথিত, আর যে চার দিকে তার সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।
পরিবেশ ও নানা বিষয়ে জাপান ও ভারত দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। তা নিয়ে জাপানের প্রসংসা করতে ভোলেলনি মোদী। তিনি বলেন, ভারত ও জাপান ন্যাচারাল পার্টনার। আমাদের সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক আধ্যাত্মিক ও সহযোগিতার।


এছাড়াও এদিন বৌদ্ধধর্ম প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বুদ্ধের দেখানো পথেই চলা উচিৎ গোটা পৃথিবীর। হিংসা, নৈরাজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে এটাই পথ।
কোয়াদ বৈঠকে যোগ দেওয়া ছাড়াও জাপান, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।