ধর্ষকের কঠিন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বনগাঁয় পথে নামলেন মহিলারা। গত ২৪ ডিসেম্বর মাত্র তিন বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে স্থানীয় যুবক রাহুল দেব শর্মা ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। শিশু কন্যার পরিজনেরা ওই যুবকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানালে গত ২৬ ডিসেম্বর যুবকটিকে বনগাঁ থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ওই ধর্ষক যুবকের কড়া শাস্তির দাবিতে আজ পথে নামেন বনগাঁর মহিলারা। তাদের সঙ্গে স্থানীয় অনেক যুবকও পা মেলান। তারা বনগাঁ থানার সামনে জড়ো হয়ে মৌন প্রতিবাদ পালন করেন। তাদের এই প্রতিবাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্ষক রাহুল দেব শর্মার যেন কঠিন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, যাতে আগামী দিনে আর কেউ ধর্ষণের কথা চিন্তা ভাবনা করতে না পারে।
প্রতিবাদকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যারা শিশু ও মহিলাদের ওপর এই ধরনের অত্যাচার চালান তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে সমাজের কাছে উদাহরণ তৈরি করতে হবে। তাহলে আগামী দিনে আর কেউ ধর্ষণ করার কথা চিন্তাতেই আনতে পারবে না।
বনগাঁর সমস্ত রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদকে সমর্থন জানানো হয়েছে। তারা বলছেন মহিলাদের এই প্রতিবাদ বনগায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। ভবিষ্যতে এধরনের বিকৃত মানসিকতার করার আগে প্রত্যেকেই দশবার ভাববে। সেইসঙ্গে সেই অপরাধীকে মাথায় রাখতে হবে সব বনগাঁ বাশসী অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য এককাট্টা হয়ে আছে। যদিও বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ আন্দোলনে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের কিছু সমর্থক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হয়। দলীয় পতাকা না থাকলেই গোটা বিষয়টি আরও সঠিক হতো বলে মনে করছেন বনগাঁ অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এই প্রতিবাদের আগুন যেন আগামী দিনের প্রতিটি রাহুল দেব শর্মাকে ধ্বংস করে দেয় এটাই চাওয়া সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের। তাদের আশা সমাজ থেকে বিকৃতি দূর হলে তবেই শিশু এবং নারীরা নিরাপদ বোধ করবে।