নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশপ্রেমই ভারতীয় জনতা পার্টির মূল মন্ত্র, রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের নেতা নেত্রীদের মুখে বারবারই উঠে এসেছে সে কথা। শুধু তাই নয়, বাংলার আনাচে কানাচে কখনো বিন্দুমাত্র বিরুদ্ধতার আঁচ পেলেও সেই সমস্ত ‘দেশদ্রোহী’-দের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে এহেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিই দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসে করে বসলেন কেলেঙ্কারি। প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে উল্টো পতাকা উত্তোলন করলেন দিলীপ ঘোষ। তারপরেই শুরু বিতর্ক।
মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে তারাপীঠে পুজো দেওয়ার পর দিলীপ গিয়েছিলেন বীরভূম জেলার রামপুরহাটের দলীয় কার্যালয়ে। সেখানেই পতাকা উত্তোলনের সময়ই বিপত্তি ঘটে। দিলীপ পতাকা তুলতে তুলতেই দেখতে পান, সেটি উল্টো করে লাগানো হয়েছে। দ্রুত ভুল বুঝতে পারেন সেখানে উপস্থিত অন্যরাও। কিন্তু ততক্ষণে বিপত্তি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে! তার পর দ্রুত নিজেই পতাকাটি সোজা করে লাগিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গান বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। কিন্তু তাতে সমালোচনা থামেনি।
এই বিতর্ককে ধামাচাপা দিতে দিলীপ বলেন, “পতাকা তোলার আগে তো পরীক্ষা করে দেখিনি। কিন্তু পতাকা তোলার সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টা আমার চোখে পড়ে। তখন নিজেই হাত লাগাই। তারপর সঠিক ভাবে জাতীয় পতাকা তুলি। যাঁরা ওই দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের পরে বলেছি, এমন ভুল যেন আর কখনও না হয়।” তবে পাশাপাশিই দলের কর্মীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, “জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার কোনও উদ্দেশ্যই দলীয় কর্মীদের ছিল না। ওঁরা একটা ছোট ভুল করে ফেলেছে। আমি দাঁড়িয়ে থেকে সংশোধন করে দিয়েছি। এটা নিয়ে বিতর্ক না হওয়াই ভাল।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছিল। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের “জয় শ্রী রাম” স্লোগানে চরম অপমানিত বোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভাষণ না দিয়েই সেদিন মঞ্চ থেকে নেমে যান। জাতীয় উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই এহেন ধর্মীয় তথা রাজনৈতিক স্লোগানের নিন্দা করেছেন অনেকেই। আবার দলীয় কর্মীদের হয়ে সাফাইও দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেই উত্তাপের আবহেই দিলীপ ঘোষের পতাকা বিভ্রাট নতুন করে বিতর্ক বাড়িয়েছে।