নিজস্ব সংবাদদাতা: দীর্ঘ ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলার পর অবশেষে গতকাল বাংলায় আট দফার বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। এ বার আগামী রবিবার রেজাল্ট বেরনোর অপেক্ষায় দিন গুনছেন আপামর বঙ্গবাসী। তার আগেই আজ দুপুর ৩টের সময় দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে দলের সমস্ত প্রার্থীদের।
ঠিক কী কারণে এই জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়? সূত্রের খবর, মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রার্থীদের দু’টি বিষয় বলবেন। প্রথম, জেতার পরে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত বদল করে দল বদলে ফেলবেন না। সরাসরি তাদের যা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে, জিতে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাবেন না। দ্বিতীয়, আগামী রবিবার কাউন্টিং এজেন্ট যাঁরা থাকবেন তাঁরা সব বিষয়ে যথাযথ নজর রাখবেন। কাউন্টিং হলের ভিতরে এক ইঞ্চিও ভুল করা যাবে না।
বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের প্রাপ্ত আসনের ব্যবধান বেশি না হলে সমস্যা হতে পারে তৃণমূলের। কী সমস্যা? আশঙ্কা করা হচ্ছে, নানা প্রলোভনে জেতা আসন নিয়ে পদ্ম শিবিরের দিকে ঝুঁকতে পারেন অনেক জয়ী তৃণমূল বিধায়ক। সূত্রের খবর, তাঁদের আটকানোর জন্যই এই বৈঠকে বার্তা দিতে পারেন দলনেত্রী। ঘাস ফুল শিবিরের অনেক নেতাই বলছেন, এই ভোটে বুথ এক্সিট পোল যাই বলুক না কেন, তাঁদের জয় নিয়ে সংশয় নেই।
ইতিমধ্যেই অনেক তৃণমূল নেতা বলতে শুরু করেছেন যে, তাঁদের ঝুলিতে গণনার পর ১৯০টি আসন আসতে চলেছে। এর পাশাপাশি জয় নিয়ে সংশয় না থাকলেও অনেকেই বলছেন, ১৭০ এর মধ্যে আসন থাকলে চলতে পারে বিধায়ক কেনাবেচার লড়াই। তাই জয়ের পরেও তৃণমূলেই থাকছি, এই আশ্বাসবাণী শুনে নিতে চাইছেন মমতা। যার ফলস্বরূপ নিশ্চিন্তে থাকতে পারে জোড়াফুল শিবির।
গতকাল ভোট মেটার পর আসন্ন রেজাল্ট নিয়ে সাবধান করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন কাউন্টিং সেন্টারে যেন যথাযথ নজর রাখা হয়। এমনকি ডিউটি রোস্টার করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল আগামীকাল। কিন্তু বৃহস্পতিবার, অষ্টম দফা ভোটের দিনই এই বৈঠকের দিন এগিয়ে আনার কথা জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে হাজির থাকার কথা বেশ কিছু শীর্ষ নেতার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ যা নির্দেশ দেবেন তার প্রেক্ষিতেই পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে চায় জোড়াফুল শিবির।