নিজস্ব সংবাদদাতা: মাঝে আর মাত্র একদিন বাকি। তারপরই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়ে যাবে। এরপর আগামী ১ মাস ধরে চলবে এই নির্বাচন। আগামী ২ মে জানা যাবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হ্যাটট্রিক করবেন নাকি বাংলা পাবে নতুন মুখ। তবে তার আগে সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বাংলায় হ্যাটট্রিক করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে দ্বিতীয় হিসেবে থেকে যাবে ভারতীয় জনতা পার্টি।
সেই সমীক্ষা জানাচ্ছে, বাংলার ৪৫ শতাংশ মানুষ মনে করছেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ৩৭ শতাংশের মতে বিধানসভা নির্বাচন জিততে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিকে বাম-কংগ্রেস এবং আইএসএফ জোট এই নির্বাচন্স জিতবে বলে মনে করছেন ১১ শতাংশ মানুষ। একইসঙ্গে বিধানসভা ভোটে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে সেই অঙ্কও ধরা পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ৪২ শতাংশ ভোট এবং বিজেপি পেতে পারে ৩৭ শতাংশ ভোট। এদিকে জোট দলগুলির পাওয়ার সম্ভাবনা ১৩ শতাংশ।
সি ভোটারের এই সমীক্ষা আরও জানাচ্ছে যে, আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ১৫২-১৬৮ আসন এবং বিজেপি পেতে পারে ১০৪-১২০ টি আসন। জোট দলগুলি ১৮-২৬ আসন পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এখনও অবধি ৫৫ শতাংশ মানুষ চাইছেন বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে। এরপরে জনগণের কাছে স্থান পেয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, তিনি পেয়েছেন ৩২ শতাংশ ভোট। এর পরেই সেই তালিকায় রয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, যাকে ৭ শতাংশ মানুষের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পছন্দ। এর পরে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং বামফ্রন্ট নেতা সুজন চক্রবর্তী। দুজনেই পেয়েছেন ১ শতাংশ করে ভোট।
সি ভোটারের দ্বিতীয় দফার জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, তৃণমূল পেতে পারে ১৪৮ থেকে ১৬৪ আসন। বিজেপি পেতে পারে ৯২-১০৮ আসন। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ৩১ থেকে ৩৯টি আসন। সি ভোটারের তৃতীয় দফার জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, বিধানসভা ভোটে তৃণমূল পেতে পারে ১৫০-১৬৬টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৯৮-১১৪টি আসন। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২৩-৩১টি আসন। এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই মনে করা হচ্ছে, বাংলার জনগণের রায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসা শুধু সময়ের অপেক্ষা।