নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলার একুশের বিধানসভা নির্বাচন যে খুব একটা শান্ত পরিস্থিতিতে হবে না, তা আন্দাজ করা যাচ্ছিল আগেভাগেই। গত কয়েক মাস ধরেই রাজনৈতিক বাদানুবাদ আর চাপানউতোর জানান দিচ্ছিল এক উত্তপ্ত নির্বাচনের। আজ পাঁচ জেলার মোট ৩০ আসনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হতেই যথারীতি লেগে গেল নারদ নারদ।
ভোটের প্রথম দিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে তৃণমূল বিজেপির একে অপরকে দোষারোপের পালা। রাজনৈতিক দলগুলির নালিশে রীতিমতো অতিষ্ঠ নির্বাচন কমিশনও। একদিকে যেমন জেলায় জেলায় ভোট কারচুপি, সন্দেহজনক ইভিএম এবং ভোটারদের খাবার ও টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, অন্যদিকে তেমনই পিছিয়ে নেই বিজেপিও। দলীয় কর্মীদের উপর হামলা ও অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। দুই দলের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের খেলায় এখন সরগরম গোটা রাজ্য।
এদিন ভোটের হার নিয়ে খোদ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ১২টায় দশজন তৃণমূল সাংসদের প্রতিনিধি দল অভিযোগ জানাতে যাবে নির্বাচন কমিশনে। বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির জন্যেও নালিশ জানানো হবে বলে শোনা গেছে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে বিজেপিও যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনে। শনিবার দুপুর ২টোয় বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা এ রাজ্যের বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় যাবেন নির্বাচন কমিশনে, সূত্রের খবরে জানা গেছে তেমনটাই। কমিশনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ অবশ্য বেশ গুরুতর। ঘন ঘন ভোটের হারে পরিবর্তনের অভিযোগ তুলেছে তাঁরা। উল্লেখ্য, ভোটগ্রহণের আগের রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, এগরার মতো বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী নির্বাচনগুলিতেও যে অশান্তি পিছু ছাড়বে না তা বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে।